This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Showing posts with label International. Show all posts
Showing posts with label International. Show all posts

Saturday, March 9, 2019

হযরত মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, ১০ বছরের কারাদণ্ড


মালয়েশিয়ায় ইসলাম এবং নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার দায়ে এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ইসলাম ও নবী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। একই ধরনের অভিযোগে আরও তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়ায় ইসলামের অবমাননার বিরুদ্ধে এই শাস্তিকে সবচেয়ে কঠোর বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি দেশটিতে ধর্মীয় এবং জাতিগত উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মালয়েশিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ ফুজি হারুন বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেটওয়ার্কের অপব্যবহার করে ইসলাম ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার দায়ে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

এই অভিযোগের প্রত্যেকটির শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এ সাজা ধারবাহিকভাবে কার্যকর হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপর এক ব্যবহারকারীকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার তার বিরুদ্ধে আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া অপর দু’জনের বিরুদ্ধে এখনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি। তবে কোনো ধরনের জামিন ছাড়াই তারা আটক থাকবে।

এই চারজনের বিরুদ্ধে জাতিগত অসম্মান, উসকানি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেটওয়ার্কের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার করে কোনো ধরনের উসকানিমূলক বার্তা, ছবি শেয়ার কিংবা আপলোড না করতে জনসাধারণকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দেশটির ধর্মীয় কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী মুজাহিদ ইউসুফ রাওয়া বলেন, ইসলাম এবং নবী সম্পর্কে আপত্তিকর লেখা এবং পর্যবেক্ষণের জন্য ইসলামী কল্যাণ বিষয়ক বিভাগ একটি পর্যবেক্ষক ইউনিট গঠন করেছে। তিনি বলেছেন, ধর্মকে অবমাননা করে এমন কোনো বিষয়ের সঙ্গে আপোষ করবে না মন্ত্রণালয়।

Wednesday, February 13, 2019

পোশাক শিল্পে যৌন হয়রানি : ওরা গায়ে হাত দেয়


তৈরি পোশাক খাতের নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানি প্রসঙ্গে বিশ্বের নামকরা পোশাক কোম্পানিগুলোর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। একটি বিশেষ নিবন্ধে নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থাটি ভারত, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া এবং বাংলাদেশসহ পোশাক খাতে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর শ্রমিকদের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে।

বিশ্বব্যাপী পোশাক খাতে নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানির মাত্রা গুরুতর বলে উল্লেখ করছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। প্রতিবেদনে কীভাবে ভারত বা পাকিস্তানে নারী শ্রমিকেরা যৌননিপীড়নের শিকার হয়েও ভয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না সেসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।


কম্বোডিয়ার উদাহরণ দিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, দেশটিতে শুধু কারখানাতেই নয়, কর্মকর্তারা কারখানার বাইরেও নারী শ্রমিকদের হয়রানি করে থাকেন। মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, কর্মকর্তারা নারী শ্রমিকদের পার্টিতে যেতে আমন্ত্রণ জানান, আর তারা না গেলে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

এসব দেশে নারী শ্রমিকেরা কোনো ভয়ভীতি ছাড়া কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ নিয়ে যাবেন এমন পরিবেশ নেই বলে সংস্থাটি মনে করছে। এরকম বেশ কিছু উদাহরণও তুলে ধরেছে সংস্থাটি তাদের নিবন্ধে।

বাংলাদেশের অবস্থা কী?

বাংলাদেশে পোশাক কারখানার ভবনের নিরাপত্তা, অগ্নি-নিরাপত্তা এবং বেতন ভাতা; এসব নিয়ে বেশ আলাপ-আলোচনা হয়। কাজের পরিবেশ নিয়ে নানা ধরনের শর্তও মানতে হচ্ছে বাংলাদেশের মতো তৈরি পোশাকের উৎস দেশগুলোতে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, পোশাক খাতে নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানির বিষয়টি কমপ্লায়ান্স'র অংশ হিসেবে কী আরও গুরুত্ব পেতে পারে? অন্যদিকে, বিশ্বের নামীদামী পোশাক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের মতো দেশের উপর অনেক অনেক শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু নিজেরা তাদের দায়িত্ব কতটা পালন করছেন?

কয়েকজন শ্রমিকের অভিজ্ঞতা

শ্রমিকদের একজনের সঙ্গে আরেকজনের বক্তব্যে বেশ মিল পাওয়া যায়। অর্থাৎ অভিযোগগুলো মোটামুটি একই ধরণের। ঢাকার উত্তরা এলাকার একটি কারখানায় কাজ করতেন এমন একজন শ্রমিক বলেছেন, আমাকে ম্যানেজমেন্টের একজন কু-প্রস্তাব দিছিলো। তার সাথে হোটেলে রাত্রে যাইতে হবে। আমারে বলছে যদি না যাও, তাইলে তোমার চাকরি থাকবে না। আমি নালিশ করছিলাম। আমারেই তারা ফ্যাক্টরি থেকে বের কইরা দিছে।

আরেকজন শ্রমিক বলেন, কাজে কোন সমস্যা হইলেই যে ভাষায় কথা বলে, তা আমি মুখে আনতে পারবো না। ওরা প্রায়ই গায়ে হাত দেয়। গালাগালি দেয়া যেন ওদের কাজে অংশ। বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম যৌনতা বিষয়ক গালি নারী শ্রমিকদের দেয়া হয় বলেই তিনি জানালেন।

এই নারী শ্রমিকেরা যে অভিযোগগুলো করেছেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নিবন্ধে একই ধরনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, প্রাতিষ্ঠানিক খাতের অন্য কোন সংস্থা, যেমন কোন কর্পোরেট অফিসে নারীকর্মীদের সাথে এমন শব্দ ব্যবহার বা আচরণ করার সাহস কেউ করবেন কি-না।

পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকেরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মূলত দরিদ্র পরিবারগুলো থেকে আসেন। কাজ চলে গেলে মারাত্মক বিপদে পড়তে হয় এবং একই সাথে শ্রমকাঠামোতে এসব নারীদের অবস্থানগত কারণেই এমন আচরণ করা হয় বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন।

কী ধরনের যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে?

কারখানার মাঝারি পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেই যৌন হয়রানি করার অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। তবে নারী শ্রমিকেরা পুরুষ শ্রমিকদের দ্বারাও যৌন হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে। মৌখিক নোংরা কথাবার্তার অভিযোগ আসে হরহামেশাই।

কয়েকটি এনজিও'র তৈরি একটি প্ল্যাটফর্ম 'সজাগ কোয়ালিশন' গেল বছর একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। চারটি এলাকার আটটি কারখানার শ্রমিকের ওপর করা ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ২২ শতাংশ শ্রমিক জানিয়েছেন যে তারা কখনও না কখনও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

কমবেশী ৮৩ শতাংশ শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করেন না। যৌন হয়রানি হিসেবে কারখানায় প্রবেশের সময় নিরাপত্তা কর্মীদের অস্বস্তিকরভাবে দেহ তল্লাশি, পুরুষ সহকর্মীর অপ্রত্যাশিত স্পর্শ, মাঝারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্বারা যৌন সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা, সম্পর্ক তৈরি না করলে ভয়ভীতি প্রদর্শন; এগুলো উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

শ্রমিকদের ৬৮ শতাংশ জানান, কর্মক্ষেত্রে তেমন কার্যকর কোন যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি নেই। এই গবেষণাটির প্রধান ছিলেন মাহিন সুলতান। তিনি বলছেন, আমরা বলতে চাচ্ছি, একটা ফ্যাক্টরিতে কমপ্লেন আসলে তা যদি সুষ্ঠুভাবে ডিল করা হয়, তা কিন্তু ফ্যাক্টরির জন্য একটা ক্রেডিট, যে সেখানে শ্রমিকরা সাহস করে কমপ্লেন করার পরিবেশ পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের তদন্তের ভিত্তিতে যদি একটা অ্যাকশন নেয়া হয়, তাহলে সবাই বুঝবে যে এই ফ্যাক্টরিতে যে কাঠামো থাকা উচিৎ, যেভাবে কাজ করা উচিৎ, সেটা কাজ করছে। বাংলাদেশে ৪০ লাখের বেশি পোশাক শ্রমিক রয়েছে, যার ৮০ শতাংশই নারী।

তাই তাদের প্রতি আচরণ কতটা সম্মানজনকে হওয়া উচিত বা একজন শ্রমিক কতটা নিরাপদ বোধ করবেন- এসব কিছুই কি কাজের পরিবেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া উচিত? শ্রমিক নেতৃবৃন্দ মনে করেন, এটি নিশ্চিত করা গেলে তাদের কাজের দক্ষতা আরও বাড়বে।

পোশাক খাতের ট্রেড ইউনিয়নগুলোর একটি প্ল্যাটফর্ম, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমিন জানান, আমাদের কাছে বিভিন্ন সময় নারী শ্রমিক বোনেরা আসে। কারখানায় নানাভাবে এটা ঘটে। ম্যানেজমেন্ট থেকে যেমন ঘটে তেমনি পুরুষ শ্রমিকদের দ্বারাও ঘটে।

তিনটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ব্যাপারটা বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র; এদের কাছে সাধারণত রেফার করি। কিন্তু শ্রমিকদের সংগঠনগুলো যে কতটা সরাসরি শ্রমিকদের সহায়তা করে সেটি বোঝা মুশকিল, কেননা তারা হয়রানির ঘটনাগুলোর সমন্বিত কোনো হিসেব রাখে না।

আমিন বলেন, বায়াররা এমন কোনো ঘটনা পেলেই সেটাকে ইস্যু করে বারগেইনিং শুরু করে দেয়। তারা অনেক বেশি লাভ করে কিন্তু কাপড়ের জন্য সেই পরিমাণ মূল্য আমাদের দেয় না। মালিক পক্ষ অবশ্য নিজেদের লাভ ছাড়া শ্রমিকের ভালোমন্দ নিয়ে কতটা ভাবেন, এমন প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই উঠছে।

মালিকরা কী বলছেন?

পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, বিজিএমইএর অবস্থান এই ব্যাপারে একদম জিরো টলারেন্স। শুধু গুটিকয়েক ফ্যাক্টরির জন্য আমাদের পুরো সেক্টরের বদনাম হবে এবং যার কারণে আমাদের বিজনেসে একটা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হবে, এটা বিজিএমইএ'র চেয়ারে বসে আমরা একেবারেই দেখতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, আমরাও মেম্বারশিপের ক্ষেত্রে খুব চুজি হয়ে গেছি। রানা প্লাজার পরে আমরা শুধু সেফটি ইস্যুই দেখি না, আমরা সোস্যাল ইস্যুও দেখি। তিনি বলেন, ফ্যাক্টরিগুলোতে বিদেশি ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো শ্রমিকদের বেছে নিয়ে যায় কথা বলার জন্য। সেখানে ম্যানেজমেন্টের কেউ থাকে না। তারা নির্ভয়ে সেখানে সব বলতে পারে।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, শ্রমিকদের উচিত মুখ খোলা। কিন্তু যে পোশাক শ্রমিক চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে মুখ খুলতে পারে না, তার জন্য ন্যায়বিচার কিভাবে নিশ্চিত হবে? কিংবা সেজন্য একটি সঠিক ব্যবস্থা কিভাবে নিশ্চিত করা যায়?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে একটা মেকানিজম আছে। তবে সেটাকে আরও হেলদি করতে হবে। যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তিনি যদি সামনে এগিয়ে না আসেন, তাহলে তো সমস্যার সমাধান হবে না। আর চাকরীর কথা বলছেন? দক্ষ শ্রমিকের চাকরীর কোন সমস্যা নাই। বিবিসি বাংলা।

পাকিস্তানে ‘নিষিদ্ধ’ ভালবাসা দিবস!


১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভালোবাসা দিবসের’ এই নিয়মকে পাল্টাতে চাচ্ছে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের ইউনির্ভার্সিটি অব এগ্রিকালচার। ইসলামি ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে ভালোবাসা দিবসকে ‘সিস্টারস ডে বা বোন দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি জাফর ইকবাল ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সিস্টারস ডে’ ঘোষণা দিয়েছেন। এখন থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি সিস্টারস ডে পালনের সময় ক্যাম্পাসের নারী শিক্ষার্থীদের স্কার্ফ ও আবায়াহ (বোরকার মতো এক ধরনের পোশাক) উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভিসি জাফর ইকবাল বলেন, ভালোবাসা দিবসকে সিস্টারস ডে হিসেবে পালন করাটা হবে পাকিস্তান ও ইসলামী সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

এর আগে ২০১৭ সালে পাকিস্তান মিডিয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভালোবাসা দিবসকে নিয়ে কোন প্রকারের খবর প্রচার করা যাবে না বলে আইন জারি করে। ভালোবাসা দিবসের নামে ব্যাভিচার, নগ্নতা ও অশ্লীলতা ছড়ানো হচ্ছে অভিযোগ করে ২০১৭ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেন আব্দুল ওয়াহিদ নামে এক ব্যক্তি। এরপর দেশটির এক আদালত ভালবাসা দিবসকে নিয়ে কোন প্রকারের খবর প্রচার করা যাবে না বলে রায় দেয়।

Thursday, January 3, 2019

নতুন বছরকে বরণ করতে ২০১৯ বার ডুব দিয়ে রেকর্ড গড়লেন।


ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই নানা জমকালো উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আতশবাজি, নাচ, গান ইত্যাদির মাধ্যমে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। কিন্তু বর্ষবরণের গতানুগতিক এ প্রথাকে ভেঙে দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার জেলার বিষ্ণুপুরের এক যুবক।

তিনি ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে সংখ্যার সঙ্গে মিল রেখে একটি দু’টি নয়, গুনেগুনে দুই হাজার উনিশটি ডুব দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ যুবকের নাম সদানন্দ দত্ত। তিনি বিষ্ণুপুর শহরের বাহাদুর গঞ্জের বাসিন্দা। শৈশব থেকেই সাঁতার কাটতে ভালবাসেন তিনি। দক্ষ সাঁতারু হিসেবেও এলাকায় সুনাম রয়েছে। দীর্ঘসময় পানিতে কাটাতে পছন্দ করেন বলে তাকে বন্ধু-বান্ধব মহলে ‘পানকৌড়ি’ হিসেবেও ডাকা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী লালবাঁধের পানিতে ডুব দেয়া শুরু করেন তিনি। ২০১৯ বার ডুব দিতে সময় নেন ৪৮ মিনিট। তারপরও ঠাণ্ডা পানি কাবু করতে পারেনি সদানন্দকে। তার জবাব, ‘আমার লক্ষ্য বিশ্বকে জয় করার।’ অবশ্য এবারেই প্রথম নয়। ২০১৬ সাল থেকেই বছরের প্রথম দিনে একই কাণ্ড করে আসছেন তিনি। এই নিয়ে নিজস্ব কীর্তির চতুর্থ বর্ষ পূর্ণ হল তার। যার সাক্ষী হয়ে থাকলেন অগণিত মানুষ।