This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Showing posts with label Slider. Show all posts
Showing posts with label Slider. Show all posts

Thursday, February 14, 2019

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড


রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের নতুন ভবনে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার জানান, বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। আগুনের চেয়ে ধোঁয়ার পরিমাণ বেশি।

শের-ই- বাংলা নগর থানার এসআই রাজিব জানান, হাসপাতালের নতুন ভবনের স্টোর রুমে আগুন লেগেছে। কোনও হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।

Wednesday, February 13, 2019

বিপিএলে আসছে বরিশাল, আসতে চায় নোয়াখালীও


বিপিএলের ষষ্ঠ আসর সফলভাবে শেষ করার পর সপ্তম আসর নিয়ে ইতোমধ্যে ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জানা গেছে, আগামী আসরে বরিশাল থেকে পুনরায় দল ফিরবে বিপিএলে। এছাড়া নোয়াখালীর প্রতিনিধিত্ব করেও একটি দল দেখা যেতে পারে বিপিএলের মঞ্চে।

বিপিএলে আসছে বরিশাল, আসতে চায় নোয়াখালীও এর আগে বরিশাল বুলস বিপিএলে খেলেছিল বরিশাল অঞ্চলের প্রতিনিধিত্বকারী দল হিসেবে।

এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের একটি প্রতিবেদনে। সপ্তম বিপিএলে তাই দল সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৯-এ।

এ প্রসঙ্গে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘বরিশাল তো অনেক আগে থেকেই চেষ্টা করছে আরেকটি দল নিয়ে বিপিএলে ফেরার জন্য। নোয়াখালী জেলা থেকেও যারা সাপোর্ট করেন তাদের মধ্য থেকেও চাচ্ছেন তাদের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক। সবকিছু নির্ভর করছে তাদের আন্তরিকতার উপর।’

এদিকে বিপিএলের দর্শকপ্রিয়তা বাড়াতে সিলেট ও চট্টগ্রামে ম্যাচ বাড়ানোর কথা ভাবছে বিসিবি। ষষ্ঠ বিপিএলেও সিলেট ও চট্টগ্রাম পর্বের ম্যাচগুলো ছিল দর্শকে ঠাসা। সেদিন বিবেচনায় অনেকটাই ফাঁকা ছিল ঢাকার ম্যাচগুলো। যদিও এবারও ঢাকায়ই হয়েছে সিংহভাগ ম্যাচ। সিলেট-চট্টগ্রামে ম্যাচ সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন ভেন্যু হিসেবে দেখা যেতে পারে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামকে, যেখানে ইতিপূর্বেও আয়োজিত হয়েছিল বিপিএলের ম্যাচ।

জালাল ইউনুস বলেন, ‘সিলেট ও চট্টগ্রামে বেশি করে খেলা দিতে পারলে আমি মনে করি আগ্রহ আরও বাড়বে। কোনো সন্দেহ নেই, খুলনা বেশ ভালো একটি ভেন্যু। স্টেডিয়াম ভালো, মাঠ ভালো। দর্শকও প্রচুর পাওয়া যাবে। এটা আমাদের মাথায় আছে।’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসর শেষ হওয়ার পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন- কবে মাঠে গড়াবে সপ্তম বিপিএল? বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এই বছরেই আরও একটি আসর মাঠে গড়াতে চাইলেও ফ্র্যাঞ্চাইজিরা একই বছরে দুটি আসরে অংশ নিতে নারাজ- এমনটিই শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ২০২০ সালের জানুয়ারিই হতে পারে বিপিএলের আগামী মৌসুম শুরুর সময়।

জালাল ইউনুসের ভাষ্য, ‘ডিসেম্বর হচ্ছে সঠিক সময়। আপনারা জানেন জুলাই থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়ে যাবে।’

ফাগুনে প্রেমিকের সঙ্গে বের হয়ে না ফেরার দেশে মেডিকেল ছাত্রী


ফাল্গুনে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এক মেডিকেল ছাত্রী। এ ঘটনায় তার প্রেমিক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী পাবনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী তানজিলা হায়দার (২২) নিহত হন। নিহত তানজিলা হায়দার রাজশাহীর লক্ষ্মীপুরের সাম্মাক হায়দারের মেয়ে ও পাবনা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে ঘুরতে বের হন তানজিলা। সারাদিন ঘুরে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।

এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তানজিলা। এ ঘটনায় তার বয়ফ্রেন্ড আহত হলেও তার নাম জানা যায়নি।

পোশাক শিল্পে যৌন হয়রানি : ওরা গায়ে হাত দেয়


তৈরি পোশাক খাতের নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানি প্রসঙ্গে বিশ্বের নামকরা পোশাক কোম্পানিগুলোর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। একটি বিশেষ নিবন্ধে নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থাটি ভারত, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া এবং বাংলাদেশসহ পোশাক খাতে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর শ্রমিকদের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে।

বিশ্বব্যাপী পোশাক খাতে নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানির মাত্রা গুরুতর বলে উল্লেখ করছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। প্রতিবেদনে কীভাবে ভারত বা পাকিস্তানে নারী শ্রমিকেরা যৌননিপীড়নের শিকার হয়েও ভয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না সেসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।


কম্বোডিয়ার উদাহরণ দিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, দেশটিতে শুধু কারখানাতেই নয়, কর্মকর্তারা কারখানার বাইরেও নারী শ্রমিকদের হয়রানি করে থাকেন। মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, কর্মকর্তারা নারী শ্রমিকদের পার্টিতে যেতে আমন্ত্রণ জানান, আর তারা না গেলে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

এসব দেশে নারী শ্রমিকেরা কোনো ভয়ভীতি ছাড়া কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ নিয়ে যাবেন এমন পরিবেশ নেই বলে সংস্থাটি মনে করছে। এরকম বেশ কিছু উদাহরণও তুলে ধরেছে সংস্থাটি তাদের নিবন্ধে।

বাংলাদেশের অবস্থা কী?

বাংলাদেশে পোশাক কারখানার ভবনের নিরাপত্তা, অগ্নি-নিরাপত্তা এবং বেতন ভাতা; এসব নিয়ে বেশ আলাপ-আলোচনা হয়। কাজের পরিবেশ নিয়ে নানা ধরনের শর্তও মানতে হচ্ছে বাংলাদেশের মতো তৈরি পোশাকের উৎস দেশগুলোতে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, পোশাক খাতে নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানির বিষয়টি কমপ্লায়ান্স'র অংশ হিসেবে কী আরও গুরুত্ব পেতে পারে? অন্যদিকে, বিশ্বের নামীদামী পোশাক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের মতো দেশের উপর অনেক অনেক শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু নিজেরা তাদের দায়িত্ব কতটা পালন করছেন?

কয়েকজন শ্রমিকের অভিজ্ঞতা

শ্রমিকদের একজনের সঙ্গে আরেকজনের বক্তব্যে বেশ মিল পাওয়া যায়। অর্থাৎ অভিযোগগুলো মোটামুটি একই ধরণের। ঢাকার উত্তরা এলাকার একটি কারখানায় কাজ করতেন এমন একজন শ্রমিক বলেছেন, আমাকে ম্যানেজমেন্টের একজন কু-প্রস্তাব দিছিলো। তার সাথে হোটেলে রাত্রে যাইতে হবে। আমারে বলছে যদি না যাও, তাইলে তোমার চাকরি থাকবে না। আমি নালিশ করছিলাম। আমারেই তারা ফ্যাক্টরি থেকে বের কইরা দিছে।

আরেকজন শ্রমিক বলেন, কাজে কোন সমস্যা হইলেই যে ভাষায় কথা বলে, তা আমি মুখে আনতে পারবো না। ওরা প্রায়ই গায়ে হাত দেয়। গালাগালি দেয়া যেন ওদের কাজে অংশ। বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম যৌনতা বিষয়ক গালি নারী শ্রমিকদের দেয়া হয় বলেই তিনি জানালেন।

এই নারী শ্রমিকেরা যে অভিযোগগুলো করেছেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নিবন্ধে একই ধরনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, প্রাতিষ্ঠানিক খাতের অন্য কোন সংস্থা, যেমন কোন কর্পোরেট অফিসে নারীকর্মীদের সাথে এমন শব্দ ব্যবহার বা আচরণ করার সাহস কেউ করবেন কি-না।

পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকেরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মূলত দরিদ্র পরিবারগুলো থেকে আসেন। কাজ চলে গেলে মারাত্মক বিপদে পড়তে হয় এবং একই সাথে শ্রমকাঠামোতে এসব নারীদের অবস্থানগত কারণেই এমন আচরণ করা হয় বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন।

কী ধরনের যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে?

কারখানার মাঝারি পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেই যৌন হয়রানি করার অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। তবে নারী শ্রমিকেরা পুরুষ শ্রমিকদের দ্বারাও যৌন হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে। মৌখিক নোংরা কথাবার্তার অভিযোগ আসে হরহামেশাই।

কয়েকটি এনজিও'র তৈরি একটি প্ল্যাটফর্ম 'সজাগ কোয়ালিশন' গেল বছর একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। চারটি এলাকার আটটি কারখানার শ্রমিকের ওপর করা ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ২২ শতাংশ শ্রমিক জানিয়েছেন যে তারা কখনও না কখনও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

কমবেশী ৮৩ শতাংশ শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করেন না। যৌন হয়রানি হিসেবে কারখানায় প্রবেশের সময় নিরাপত্তা কর্মীদের অস্বস্তিকরভাবে দেহ তল্লাশি, পুরুষ সহকর্মীর অপ্রত্যাশিত স্পর্শ, মাঝারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্বারা যৌন সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা, সম্পর্ক তৈরি না করলে ভয়ভীতি প্রদর্শন; এগুলো উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

শ্রমিকদের ৬৮ শতাংশ জানান, কর্মক্ষেত্রে তেমন কার্যকর কোন যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি নেই। এই গবেষণাটির প্রধান ছিলেন মাহিন সুলতান। তিনি বলছেন, আমরা বলতে চাচ্ছি, একটা ফ্যাক্টরিতে কমপ্লেন আসলে তা যদি সুষ্ঠুভাবে ডিল করা হয়, তা কিন্তু ফ্যাক্টরির জন্য একটা ক্রেডিট, যে সেখানে শ্রমিকরা সাহস করে কমপ্লেন করার পরিবেশ পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের তদন্তের ভিত্তিতে যদি একটা অ্যাকশন নেয়া হয়, তাহলে সবাই বুঝবে যে এই ফ্যাক্টরিতে যে কাঠামো থাকা উচিৎ, যেভাবে কাজ করা উচিৎ, সেটা কাজ করছে। বাংলাদেশে ৪০ লাখের বেশি পোশাক শ্রমিক রয়েছে, যার ৮০ শতাংশই নারী।

তাই তাদের প্রতি আচরণ কতটা সম্মানজনকে হওয়া উচিত বা একজন শ্রমিক কতটা নিরাপদ বোধ করবেন- এসব কিছুই কি কাজের পরিবেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া উচিত? শ্রমিক নেতৃবৃন্দ মনে করেন, এটি নিশ্চিত করা গেলে তাদের কাজের দক্ষতা আরও বাড়বে।

পোশাক খাতের ট্রেড ইউনিয়নগুলোর একটি প্ল্যাটফর্ম, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমিন জানান, আমাদের কাছে বিভিন্ন সময় নারী শ্রমিক বোনেরা আসে। কারখানায় নানাভাবে এটা ঘটে। ম্যানেজমেন্ট থেকে যেমন ঘটে তেমনি পুরুষ শ্রমিকদের দ্বারাও ঘটে।

তিনটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ব্যাপারটা বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র; এদের কাছে সাধারণত রেফার করি। কিন্তু শ্রমিকদের সংগঠনগুলো যে কতটা সরাসরি শ্রমিকদের সহায়তা করে সেটি বোঝা মুশকিল, কেননা তারা হয়রানির ঘটনাগুলোর সমন্বিত কোনো হিসেব রাখে না।

আমিন বলেন, বায়াররা এমন কোনো ঘটনা পেলেই সেটাকে ইস্যু করে বারগেইনিং শুরু করে দেয়। তারা অনেক বেশি লাভ করে কিন্তু কাপড়ের জন্য সেই পরিমাণ মূল্য আমাদের দেয় না। মালিক পক্ষ অবশ্য নিজেদের লাভ ছাড়া শ্রমিকের ভালোমন্দ নিয়ে কতটা ভাবেন, এমন প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই উঠছে।

মালিকরা কী বলছেন?

পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, বিজিএমইএর অবস্থান এই ব্যাপারে একদম জিরো টলারেন্স। শুধু গুটিকয়েক ফ্যাক্টরির জন্য আমাদের পুরো সেক্টরের বদনাম হবে এবং যার কারণে আমাদের বিজনেসে একটা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হবে, এটা বিজিএমইএ'র চেয়ারে বসে আমরা একেবারেই দেখতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, আমরাও মেম্বারশিপের ক্ষেত্রে খুব চুজি হয়ে গেছি। রানা প্লাজার পরে আমরা শুধু সেফটি ইস্যুই দেখি না, আমরা সোস্যাল ইস্যুও দেখি। তিনি বলেন, ফ্যাক্টরিগুলোতে বিদেশি ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো শ্রমিকদের বেছে নিয়ে যায় কথা বলার জন্য। সেখানে ম্যানেজমেন্টের কেউ থাকে না। তারা নির্ভয়ে সেখানে সব বলতে পারে।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, শ্রমিকদের উচিত মুখ খোলা। কিন্তু যে পোশাক শ্রমিক চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে মুখ খুলতে পারে না, তার জন্য ন্যায়বিচার কিভাবে নিশ্চিত হবে? কিংবা সেজন্য একটি সঠিক ব্যবস্থা কিভাবে নিশ্চিত করা যায়?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে একটা মেকানিজম আছে। তবে সেটাকে আরও হেলদি করতে হবে। যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তিনি যদি সামনে এগিয়ে না আসেন, তাহলে তো সমস্যার সমাধান হবে না। আর চাকরীর কথা বলছেন? দক্ষ শ্রমিকের চাকরীর কোন সমস্যা নাই। বিবিসি বাংলা।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিএসএফের নির্যাতন, প্রতিবাদে বেনাপোল বন্ধ


বেনাপোল-ঝিকরগাছা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক আ. রহমান কালু জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় বাংলাদেশি ট্রাক শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন করে আসছে বিএসএফ সদস্যরা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করার পর তাদের আর বাইরে বের হতে দেয়া হয় না। ফলে প্রায়শই চালকদের থাকতে হয় অনাহারে অর্ধাহারে। এতে চালকরা প্রতিবাদ করলে তাদরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি ট্রাক শ্রমিক হয়রানির প্রতিবাদে সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে দু দেশের মধ্যে আমদানি বাণিজ্য সচল রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

অবসরে কেন গ্রামে থাকতে চান, সংসদে জানালেন প্রধানমন্ত্রী


যে গ্রামে জন্মেছি ও বেড়ে উঠেছি সে গ্রামের স্মৃতি বড় মধুর। গ্রামের কাদা মাটি মেখে বড় হয়েছি। এ স্মৃতি কোনো দিন ভোলা যায় না, মোছা যায় না। গ্রামের নির্মল বাতাস এখনও আমাকে টানে।

ইট পাথরের এই নগরী আর ভালো লাগে না। গ্রামের নির্মল বায়ু, খোলা মেলা আকাশ। প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেয়া যায়। এ কারণে অবসরে গ্রামে থাকা আমার খুব আকাঙ্ক্ষা।

বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা পার্টির (ভিডিপি) ৩৯তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের পরে তিনি তার গ্রামে বাস করবেন।

তিনি বলেন, ‘যখনই আমি রাজনীতি থেকে অবসর নেব, আমি আমার গ্রামে চলে যাব এবং এটিই আমার সিদ্ধান্ত।’

পাকিস্তানে ‘নিষিদ্ধ’ ভালবাসা দিবস!


১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভালোবাসা দিবসের’ এই নিয়মকে পাল্টাতে চাচ্ছে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের ইউনির্ভার্সিটি অব এগ্রিকালচার। ইসলামি ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে ভালোবাসা দিবসকে ‘সিস্টারস ডে বা বোন দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি জাফর ইকবাল ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সিস্টারস ডে’ ঘোষণা দিয়েছেন। এখন থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি সিস্টারস ডে পালনের সময় ক্যাম্পাসের নারী শিক্ষার্থীদের স্কার্ফ ও আবায়াহ (বোরকার মতো এক ধরনের পোশাক) উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভিসি জাফর ইকবাল বলেন, ভালোবাসা দিবসকে সিস্টারস ডে হিসেবে পালন করাটা হবে পাকিস্তান ও ইসলামী সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

এর আগে ২০১৭ সালে পাকিস্তান মিডিয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভালোবাসা দিবসকে নিয়ে কোন প্রকারের খবর প্রচার করা যাবে না বলে আইন জারি করে। ভালোবাসা দিবসের নামে ব্যাভিচার, নগ্নতা ও অশ্লীলতা ছড়ানো হচ্ছে অভিযোগ করে ২০১৭ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেন আব্দুল ওয়াহিদ নামে এক ব্যক্তি। এরপর দেশটির এক আদালত ভালবাসা দিবসকে নিয়ে কোন প্রকারের খবর প্রচার করা যাবে না বলে রায় দেয়।

পহেলা ফাল্গুন উদযাপনের নামে হোটেলে গিয়ে ৩১ প্রেমিক-প্রেমিকা ধরা


পহেলা ফাল্গুনে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আবাসিক হোটেল থেকে ৩১ জন তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৯ তরুণ-তরুণীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর দুইজন স্কুলছাত্রী, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদের সেফহোমে পাঠানো হয়েছে।

পহেলা ফাল্গুন ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অসামাজিক কাজ প্রতিরোধে বুধবার সকাল থেকে ফরিদপুর শহরে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এরপর দুইটি আবাসিক হোটেল থেকে ৩১ তরুণ-তরুণীদের আটক করা হয়। দুপুরের দিকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পারভেজ মল্লিক।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ রয়েছে ফরিদপুর শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল প্রতিনিয়ত অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে শহরের রংধনু আবাসিক হোটেল ও হোটেল গুলশান প্যালেসে অভিযান চালানো হয়।

এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী হাকিম পারভেজ মল্লিক বলেন, সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও মাদকমুক্ত শহর গড়তে জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটক ৩১ জনের মধ্যে ২৯ জনের প্রত্যেককে দণ্ডবিধির ২৯৪ এর ‘ক’ ধারা মোতাবেক ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, আটকদের মধ্যে দুইজন স্কুলছাত্রী, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাই তাদের সেফহোমে পাঠানো হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিন দিনের টার্গেট ৭০ কোটি টাকার ফুল


ফাগুন আসতে আর মাত্র একদিন। কিন্তু ফাগুন হাওয়া বইতে শুরু করেছে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই। তাই ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, একদিন পরই আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে বসন্ত। এই বসন্তের দ্বিতীয় দিনই আবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। যেদিন খোঁপায়, শরীর ও মন জুড়ে শুধুই রঙিন ফাগুনের সাজ। তার উপর আবার এই বসন্তেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

তাই এ দিবসগুলোর বাজার ধরতে এখন সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত যশোরের ফুলচাষীরা। তাদের কাছে ফেব্রয়ারি মাস ফুল ব্যবসার উৎসব হিসেবেও বিবেচিত। এ সময়কে কেন্দ্র করে এখানকার ফুল ব্যবসায়ীদের থাকে বিশেষ প্রস্তুতিও।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির তথ্য মতে, এবার যশোরে পাইকারি পর্যায়ে ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।


সূত্র জানায়, যশোরে প্রায় ৬ হাজার ফুল চাষী ৩৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার ফুল চাষে সম্পৃক্ত। এখানে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় গ্লাডিওলাস ফুল। মোট ফুলের শতকরা ৪০ ভাগ চাষ হয় এটি। এরপরই ২০ ভাগ চাষ হয় রজনীগন্ধা ফুল। আর গোলাপ চাষ হয় শতকার ১৫ ভাগ। এছাড়া এখানকার চাষিদের উৎপাদিত জারবেরা, গাঁদা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্র মল্লিকাসহ ১১ ধরনের ফুল সারাদেশের মানুষের মন রাঙাচ্ছে।

সোমবার সরেজমিনে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি, পানিসারা, নাভারণ, নিরবাসখোলা এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে জমিতে সেচ প্রদান, গোলাপের কুঁড়িতে ক্যাপ পরানো, সার কীটনাশক, আগাছা পরিষ্কার করাসহ ফুলের আনুসাঙ্গিক পরিচর্যা করছেন ফুলচাষিরা। তাদের লক্ষ্য এ মাসের প্রতিটা ফুলের বাজার ধরা।

পানিসারা, মাঠপাড়া এলাকার ফুলচাষি রহমত জানান, ফুল চাষে আসা বংশ পরম্পরায়। তার বাবা ফুল চাষ করতেন। এখন তিনিও ফুল চাষের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি জানান, চার বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছেন। তার মধ্যে রজনীগন্ধা দুই বিঘায়। এক বিঘায় গোলাপ ও এক বিঘায় জারবেরা।

সামনে ফুলের বড় বাজার, তাইতো বাজার ধরতে সকাল-বিকাল ফুলের পরিচর্যা করছেন এই ফুলচাষি। গদখালিতে কথা হয় তরুণ ফুলচাষি আশরাফের সাথে। তিনি বলেন, চার বিঘায় গোলাপ, দুই বিঘায় জারবেরা ও ১ বিঘায় গ্লাডিওলাস ও রডস্টিক চাষ করেছেন।


আশরাফ আরও বলেন, আমরা গোলাপের কুঁড়িতে ক্যাপ পরিয়ে রাখি, যাতে ফুল একটু দেরি করে ফোটে। বসন্ত দিবস, ভালবাসা দিবস আর ২১ ফেব্রুয়ারিতে যাতে ফুল বাজারে দেয়া যায়।

‘প্রতিটি গোলাপে ক্যাপ পরানোসহ খরচ প্রায় ৪ টাকার মতো পড়ে। ৭-৮ টাকা বিক্রি করা গেলে ভালো মুনাফা হয় বলে জানান এই ফুলচাষি।' তিনি বলেন, ফুল চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি সফলভাবে ফুল চাষ করে যাচ্ছেন।

নাভারণের ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী নজরুল আলম বলেন, তিনি ফুল ব্যবসার সাথে সাথে ফুল চাষও করছেন। তার চাষের মধ্যে জারবেরা, গাঁদা, জিপসি, রজনীগন্ধাসহ বেশ কয়েকটি ফুল লাভজনক হয়েছে। কিন্তু তার জারবেরা ফুলে মাকল পোকা আক্রমণ করেছে। সেই সাথে সাদা মাছির উপদ্রব।

এই ফুলচাষি বলেন, কৃষি কর্মকতাদের পরামর্শ মতো কীটনাশক দিয়ে এই পোকামাকড় বিস্তার নষ্ট করার চেষ্টা করছি। গত দু-তিনমাস ব্যবসাটা কিছুটা খারাপ গেছে। সময়মতো সামনের দিবসগুলোতে যদি বাজার ধরতে পারি তাহলে ৭/৮ লাখ টাকার মতো ফুল বিক্রয় করতে পারবো।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলাসহ এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ হচ্ছে। ১৯৮৩ সালে গদখালীতে মাত্র ৩০ শতক জমিতে ফুল চাষ শুরু হয়। এখন চাষ হচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে। দেশে ফুলের মোট চাহিদার ৭০ ভাগই যশোরের গদখালী থেকে সরবরাহ করা হয় বলে জানান তিনি।

শুধু দেশে নয়, এখন এই ফুল দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়াতেও যাচ্ছে বলে জানান ফুল ব্যবসায়ীদের এই নেতা। তিনি আরও বলেন, ফুল চাষ, ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়।

আব্দুর রহিম বলেন, এই ফেব্রুয়ারি মাসকে ঘিরে প্রায় ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সারা বছর টুকটাক ফুল বিক্রি হলেও মূলত ফেব্রুয়ারি মাসের তিনটি উৎসবকে সামনে রেখেই জোরেশোরে এখানকার চাষিরা ফুল চাষ করে থাকেন।

তিনি অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি প্লাস্টিক ফুল আমদানি বা তৈরি করছে। এজন্য ফুল চাষ ও এর ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্লাস্টিক ফুল বাজারজাত ও সরবারহ বন্ধ করা গেলে ফুল চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশও ফুল রপ্তানি করা যাবে।

তিনি বলেন, ঢাকায় স্থায়ী ফুলের বাজার স্থাপন করতে পারলে ফুলের চাষ ও ব্যবসার প্রসার ঘটবে।

মিতুকে আবারো রিমান্ডে চায় পুলিশ


চট্টগ্রামে চিকিৎসক আকাশের আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ডাক্তার মিতুকে আবারো রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক প্যাটেলের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পেরেই, স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য এবং তার জেরেই আকাশ আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত।

তবে এর সাথে মিতুর আর কোনো বন্ধুর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না জানার জন্য, দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেয়ার সিদ্ধান্ত পুলিশের।

স্বামীর আত্মহত্যার প্ররোচনায় গ্রেফতারকৃত স্ত্রী ডাক্তার মিতুর তিন দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিকে ডাক্তার মিতু দাম্পত্য জীবনে কলহের বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আকাশ ও মিতুর মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া নানা তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনের পর মিতু অনেকটা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, ‌‘যে মোবাইলে এসএমএস বা ডকুমেন্ট ছিল, যার কারণে আকাশের আত্মহত্যা সেই এসএমএসগুলো আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে আরো কিছু ডকুমেন্ট আছে, যেগুলো ডিলেট করে দেয়া হয়েছে সেগুলোর জন্য সিআইডির সাহায্য নিয়েছি।’
এ ঘটনায় আকাশের মা জোবেদা খাতুন বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ডাক্তার মিতুর মাসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মিতু ছাড়া বাকিরা পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চিকিৎসক আকাশের ভাই।
মৃত আকাশের ভাই ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, আরো ডকুমেন্ট আছে। পুলিশের কাছে আছে, ফরেনসিক বিভাগে আরো কিছু বের করা হবে।

আত্মহত্যার পরপরই আকাশ এবং মিতু দু’জনেরই মোবাইল থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রহস্যজনকভাবে ডিলিট হয়ে যায়। মুছে যাওয়া তথ্য পুনরুদ্ধারে মোবাইলের ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সিআইডি’র কাছে। সে সাথে দু’একদিনের মধ্যে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে আদালতে।

অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, ‘মিতুর সঙ্গে আর কার কার সম্পর্ক ছিল এছাড়া যেদিন আত্মহত্যা করে, সে দিন কি কি বিষয় নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়েছিল তাদের উদ্দেশ্য ছিল অর্থাৎ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কি চাচ্ছিল এগুলো জানতে হবে।’

গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে নগরীর চান্দগাঁও এলাকার বাসায় শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করে চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। তবে আত্মহত্যার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার করুণ পরিণতির জন্য স্ত্রী ডাক্তার তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে দায়ী করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর অবসরের তারিখ চান রিজভী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবসরের তারিখ জানতে চেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন। আমরা সেই তারিখটা জানতে চাই।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় আজ একটি খবর দেখে চমকে উঠলাম- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করে বাকি জীবনটা কাটাবেন তার পূর্বপুরুষের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে।’

খবরে প্রকাশিত তথ্যকে স্বাগত জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলব খুব ভালো খবর। জনগণ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ গণনা শুরু করেছে। কবে আসবে সেই সুখবর যে, আপনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন। আমরা সেই তারিখটা জানতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রীকে খুব তাড়াতাড়ি অবসরে যাওয়ার পরামর্শ  দিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমরা বিনীতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো আপনি অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তটি দ্রুত কার্যকর করুন। খুব তাড়াতাড়ি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে মুক্তি দিন।’

ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত


‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে/তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে/কোরো না বিড়ম্বিত তারে-’ এভাবেই ঋতুরাজ বসন্তের বন্দনা করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বসন্ত উপলব্ধি করেছেন এভাবে ফুল ফুটুক আর না ফুটুক/আজ বসন্ত।’ হ্যাঁ, গাছের শাখার শাখায় রঙিন ফুলের পসরা সাজিয়ে, ঝরিয়ে দিয়ে মলিন পাতার রাশি, আজ বুধবার পহেলা ফাল্গ–ন, আজ বসন্তের প্রথম দিন।

ছয় ঋতুর বাংলায় বসন্তের রাজত্বে প্রকৃতি সিদ্ধ হবে। ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রং-তুলির আঁচড়ে শেষ হওয়া নয়। কোনো কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তবুও বসন্ত বন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন শেষ নেই। গাছে গাছে ফুল ফুটুক আর নাই-বা ফুটুক, বসন্ত তার নিজস্ব রূপ মেলে ধরবেই। ফাগুনের আগুনে, মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে। বাঙালির ইতিহাস আবেগের। এ আবেগ যেমন মানুষে মানুষে ভালোবাসার, তেমনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতিরও বটে। দিন-ক্ষণ গুনে গুনে বসন্ত বরণের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি।

কালের পরিক্রমায় বসন্ত বরণ আজ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উন্মাদনায় মেতে উঠবে। শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। শীত চলে যায় রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরাজীর্ণ।

বসন্তকে সামনে রেখে গ্রামবাংলায় মেলা, সার্কাসসহ নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষ মন রাঙাবে বাসন্তী রঙেই। শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও। তরুণীরা বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে প্রকৃতির কোলে নিজেকে সপে দিতে চাইবে। অন্যদিকে বসন্তের উদাস হাওয়ায় তরুণরা নিজেকে প্রকাশ করার মধ্যদিয়ে প্রকৃতির মন কাড়তে চাইবে। বসন্ত যেন মানব মন আর প্রকৃতির রূপ প্রকাশের লীলা-খেলা। বসন্ত উৎসব কেবল গ্রামীণ আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। শহুরে মানুষের কাছেও বসন্তের আবেদন ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে শহরের তরুণ-তরুণীরা বসন্ত বরণে দিনভর ব্যস্ত থাকে। ফুলে ফুলে ভরে যাবে তরুণীর চুলের খোঁপা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসবে খাবারের মেলা। এ দিন দর্শনীয় স্থানগুলোয় মানুষের পদচারণায় যেন তিল ধরার ঠাঁই থাকে না।

প্রকৃতির মতোই শিল্প-সাহিত্য এমনকি রাজনীতিতেও বসন্ত বাঙালি জীবনে তাৎপর্যময়। এ বসন্তেই ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। বসন্তেই বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের শুরু। বসন্তের আগমনবার্তা নিয়ে আসে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ ও ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। রাজধানীতে ১৪০১ বঙ্গাব্দে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে প্রতিবছর জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ এ আয়োজন করে আসছে। রাজধানীতে এ বছরের বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানমালা আরো ব্যাপকতা লাভ করেছে।

পহেলা ফাল্গ–নে আজ রাজধানীতে রয়েছে ব্যাপক আয়োজন। চারটি স্থানে আয়োজন করা হয়েছে ‘বসন্ত উৎসব’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় দিনব্যাপী এবং ধানমণ্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চ, লক্ষ্মীবাজারের বাহাদুরশাহ পার্ক ও উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চে বিকাল থেকে রাত অবধি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবে যন্ত্রসঙ্গীত, বসন্তকথন পর্ব, প্রীতিবন্ধনী, আবির বিনিময়, একক আবৃত্তি, দলীয় আবৃত্তি, একক সঙ্গীত, দলীয় সঙ্গীত, দলীয় নৃত্য, আদিবাসীদের ও শিশু-কিশোরদের বিশেষ পরিবেশনা থাকবে। দেশের অগ্রগণ্য দল ও বরেণ্য শিল্পীরা এ অনুষ্ঠানমালায় অংশ নেবেন।

শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে ৩ দিনব্যাপী ‘বসন্ত উৎসব’। একাডেমি প্রাঙ্গণে নন্দনমঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় থাকবে সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি। প্রতিদিন অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল সাড়ে ৫টায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শহরকেন্দ্রিক বসন্ত উৎসবের সবচেয়ে বড় ঢল নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলাভবনের সামনে ঐতিহাসিক বটতলায় সমগীত সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণ ঢাকা শাখার আয়োজনে হয় বসন্ত বরণ উৎসব। চারুকলায় জাতীয় বসন্ত উদযাপন কমিটি বসন্ত বরণের উৎসব করে। যার বহুমাত্রিক ব্যাপকতা দিনদিন বাড়ছে। যার স্পর্শ ছুঁইয়ে যায় বইমেলাতেও।

বসন্ত উদযাপন পরিষদের আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মানজারুল ইসলাম চৌধুরী সুইট বলেন, ‘শহরে বসন্ত উদযাপন ভিন্নমাত্রা নিয়ে এসেছে। সকাল থেকেই আজ মানুষের ঢল নামবে। আমরা প্রতি বছর এই উৎসবটির আয়োজন করি। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির আজ এত বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও দোলা দেয়। যে যে বয়সেই থাকুক না কেন বসন্ত উৎসব হচ্ছে তারুণ্যের উৎসব।’

Monday, February 11, 2019

সালমানের ‘অশ্লীল’ মিউজিক ভিডিও নিয়ে সমালোচনার ঝড়


ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে জনপ্রিয়  ইউটিউব তারকা সালমান মুক্তাদির প্রকাশ করেছেন গান ও মিউজিক ভিডিও ‘অভদ্র প্রেম’। গতকাল শনিবার গানটি তার ‘সালমান দ্য ব্রাউন ফিশ’ ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায়।

গানটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটে চলছে তীব্র সমালোচনা। গানটির চিত্রায়নকে ‘অশ্লীল’ আখ্যা দিয়ে তর্ক-বিতর্কও চলছে ফেসবুক সহ সোশ্যার মিডিয়াজুড়ে।

ইতোমধ্যেই ‘অভদ্র প্রেম’ গানটি দেখেছে চার লাখ আঠারো হাজার ইউটিউব ভিউয়ার। তবে গানটি যে দর্শকদের মনে ধরেনি তা বোঝা যায় সেটিতে পড়া লাইক-ডিসলাইকের সংখ্যা দেখে।

ইউটিউবে গানটি লাইক দিয়েছেন ১৯ হাজার জন। বিপরীতে ডিসলাইক পড়েছে ৮০ হাজার, যা লাইকের চার গুণেরও বেশি।

তবে শুধু ডিসলাইকই নয়, গানটি প্রকাশের পর থেকে ‘সালমান দ্য ব্রাউন ফিশ’ চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যাও কমেছে। গতকাল থেকে চ্যানেলটিতে সাবস্ক্রাইবার কমেছে প্রায় এক লাখের মতো। প্রতিমুহূর্তেই সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা কমছে।

এছাড়াও ইউটিউবের কমেন্ট সেকশনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে দর্শকরা। একইসাথে চলছে কুরুচিকর ভাষায় মন্তব্য।

রিয়া আক্তার লাবনী নামের একজন মন্তব্যে লিখেছেন, ‘বাঙালি হয়ে তুমি এইটা কি বানালে। ডিসলাইক। আনসাবস্ক্রাইব দুটোই করে দিলাম। বেয়াদব।’

ওয়াক্কাস আহমেদ লিখেছেন, ‘আমার মতো কে কে ডিসলাইক করতে এসেছেন?’

সালমানের পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন কেউ কেউ। রিগ্যান খান নামের একজন লিখেছেন, ‘এই চ্যানেলে অশিক্ষিত মূর্খদের ঠাঁই নেই। যারা অশিক্ষিত মূর্খ আছেন তারা আনসাবস্ক্রাইব করে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যান।’

এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি সালমান মুক্তাদির তার ইউটিউব চ্যানেলে ‘অভদ্র প্রেম’ গানটির টিজার প্রকাশের পর থেকেই বিষয়টি  নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

দুঃসাহসী ফটোশুটে চমকে দিলেন লিজা!


জেদ তাঁর অপর নাম! ব্যক্তিত্ব তাঁর পায়ের নখ থেকে চুলের ডগায়। ক্যানসারও পর্যুদস্ত করতে পারেনি তাঁকে। তিনি লিজা রে। ছবির কাজ থেকে বেশ অনেকদিন দূরে থাকলেও ফের তিনি ফিরে এলেন স্বমহিমায়। স্রেফ চারটি ফটোশুটে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি সরে যাওয়ায় বলিউড কী হারিয়েছে!

লিজা সম্প্রতি এই ফটোশুটটি করেছেন দুনিয়া-কাঁপানো ম্যাক্সিম পত্রিকার জন্য। ম্যাক্সিম-এর এবারের প্রচ্ছদ সেজেছে তাঁরই রূপের আভায়। প্রচ্ছদের সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে যৌবনের অরুণ দীপ্তি। নিকষ কালোর প্রেক্ষাপটে খুনখারাপি লাল অন্তর্বাস আর বাথরোবে ধরা দিয়েছেন লিজা। দাঁড়িয়ে রয়েছেন একটি পা সামান্য ভাঁজ করে।

আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে নীল-সাদার যুগলবন্দি। নীল অন্তর্বাস, সাদা জামা আর সাদা চাদরের এই কালার কম্বিনেশনে লিজাই যেন আধুনিকা তুষারিণী! নিষ্পাপ যৌনতার শেষ কথা।

ম্যাক্সিম-এর সবকটি ফটোশুটই অন্তর্বাসের মহিমায় বেঁধেছে নায়িকার ব্যক্তিত্বকে। আগের দুই অন্তর্বাসে ছিল জমাট রঙের আবেদন। ধীরে ধীরে বাকি দুই ফটোশুটে নেটের আলো-আঁধারিতে ধরা দিলেন নায়িকা। দেখা গেল শয্যালীনা লিজাকে। লেস আর নেটের সেই কালো অন্তর্বাসে ফুল আর পাতার আদিম আহ্বান।

শেষ ছবিতে বাঘিনীর মতো নায়িকা শয্যায় লাস্যে-হাস্যে নিজেকে মেলে ধরেছেন! ওই লেস আর নেটের যুগলবন্দিতেই! যা দেখলে বুকের রক্ত ছলকে ওঠে! ছবিগুলো তো দেখছেনই, কী মনে হচ্ছে?

বয়ফ্রেন্ডকে দিয়ে খোলামেলা ছবি তুলে পোস্ট করলেন অভিনেত্রী!


শর্টকাটে খ্যাতি পাওয়ার আশায় মানুষ কত কিছুই না করে থাকে! যার নতুন নজির গড়লেন রুবিনা দিলায়েক। ইতিমধ্যেই ছোট পর্দার হিন্দি সিরিয়ালে জনপ্রিয় নাম তিনি। 'শক্তি অস্তিত্ব কে এহেসাস কি' নামে একটি সিরিয়ালে 'ট্রান্সজেন্ডার' এর ভূমিকায় অভিনয় করছেন রুবিনা।

এই 'ট্রান্সজেন্ডার' চরিত্র নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। তার মা নাকি রুবিনার এই চরিত্রে অভিনয় মেনে নিতে পারেননি।

রুবিনা আসলে সাহসী। তিনি নিজের মতামত ব্যক্ত করতে ভয় পান না। কিন্তু, তা বলে যা ইচ্ছা তাই করবেন? এমনও প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন। 'ট্রান্সজেন্ডার' চরিত্র নিয়ে এমনিতেই বিতর্কে ছিলেন রুবিনা, তার মধ্যেই আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অর্ধনগ্ন ছবি।

যথেষ্টই সুন্দরী রুবিনা। তার দুধেআলতা গায়ের রং যে কারোর কাছেই ঈর্ষার। 'ট্রান্সজেন্ডার' এর চরিত্রে অভিনয় করা রুবিনা যে আসলে যথেষ্ট আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারী, সেটাই নাকি তিনি দর্শকদের দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তা বলে অর্ধনগ্ন ছবি পোস্ট?


রুবিনা অবশ্য খুশি লো-কাট বিকিনি পরা এই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে। এই ছবির জন্য তিনি বয়ফ্রেন্ড অভিনব শুক্লাকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন। রুবিনা জানিয়েছেন, তার এই বিকিনি পরা ছবি আসলে অভিনবই তুলে দিয়েছেন।

সম্প্রতি অভিনব শুক্লার সঙ্গে প্রেমবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন রুবিনা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিনবের সঙ্গে এই সম্পর্কের কথা স্বীকারও করেছেন। যদিও, হিন্দি টেলি-ইন্ডাস্ট্রির একটি অংশের দাবি, প্রেমিকাকে 'ট্রান্সজেন্টার' এর ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখে মোটেও খুশি নন অভিনব। তা হলে কি প্রেমিককে খুশি করতেই স্বল্পবাসে ছবি তুলিয়েছেন রুবিনা?

এমন জল্পনাও চারপাশে ঘুরঘুর করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই অর্ধনগ্ন ছবি পোস্ট করে সাধারণ দর্শককে তার আসল ইমেজ সম্পর্কেই কি অবগত করতে চাইলেন রুবিনা?

আপনি তো মেয়ে না, আপনাকে চাপ দিলে সমস্যা কী?


আমি শরাফুল আলম সুমন ওরফে আনন্দ কুটুম। একজন প্রধান সহকারী বিজ্ঞাপন নির্মাতা। আজ আনুমানিক দুপুর চারটার দিকে গ্রামীণ ইন্টেলের অফিসে একটা মিটিং শেষে আমি মহাখালী গুলশান রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে গুলশান ১ এর দিকে আসছিলাম।

পথিমধ্যে চেকপোস্ট-২ (ব্রিজের উপর) এ আমাকে পুলিশ আটকে তল্লাসি করতে চাইলে আমি দাড়িয়ে অনুরোধ করি যে আমার হাতের জ্বলন্ত সিগারেটটা শেষ করার জন্য দুই মিনিট সময় দেওয়া হোক। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সময় দিলে আমি পাশে আইল্যান্ডের উপর দাঁড়িয়ে সিগারেট শেষ করে তার কাছে ফিরে এসে জিগ্যেস করি, বলুন।

তিনি আমাকে তল্লাসি করতে চাইলে আমি তাকে আমার কাধের ব্যাগ খুলে হাতে দেই। তিনি আমাকে ব্যাগের চেন খুলে দিতে বলেন, আমি চেইন খুলে দেই। তিনি ব্যাগ তল্লাসি শেষে আমাকে পকেট থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ বের করতে বলেন। আমি মোবাইল এবং মানিব্যাগ বের করার পর তিনি আমার শরীর তল্লাসি করেন এবং বাজে ভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত দেন। যেটা অনেকটা সমকামী আচারন বলেই আমার মনে হয়েছে। আমি তাকে বিনয়ের সাথে বলি,

- আপনি চেক করবেন করেন, কিন্তু শরীরের সেন্সেটিভ স্থানে চাপ দিচ্ছেন কেন? 

তিনি আমার প্রশ্নে রেগে গিয়ে আমাকে বলেন এটা তার ডিউটির অংশ। আমি বলি, মানুষকে শারীরিক ভাবে অসম্মান করা কিভাবে আপনার ডিউটির অংশ হতে পারে? তিনি তার সিনিয়র ‘কাদির’ সাহেবকে ডেকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। কাদির সাহেব এসে বলেন, “আপনি তো মেয়ে নয়, আপনাকে চাপ দিলে সমস্যা কী?” আমি বলি, “প্রশ্নটা ছেলে বা মেয়ের নয়। প্রশ্ন হল, আপনি কেউকে প্রকাশ্যে এভাবে শারীরিক ভাবে অসম্মান করে চাপ দিতে পারেন কি না? তখন আগের সেই পুলিশটি আমাকে বাজে ভাষায় গালি দিয়ে আমাকে আঙ্গুল তুলে শাসায়। তখন আমি তাকে আঙ্গুল তুলে বলি, “আঙ্গুল তুলে কথা বলবেন না। আর অকারণ গালি দিবেন না।“

এবার সে আমার দিকে বন্দুক তুলে বলে “তোকে এখানেই মেরে ফেলব, শুয়োরের বাচ্চা”। আমি তখন মোবাইল বের করে ভিডিও করতে গেলে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে বলা হয় যে আমাকে এরেস্ট করা হল। তার সাথে পুলিশ বক্সে যেতে হবে। যেহেতু আমি একজন আইন মেনে চলা নাগরিক সুতরাং আমি তার সাথে তার নির্দেশে পুলিশ বক্সে যাই। পুলিশ বক্সে নেওয়ার পরে কোন ধরেনের সিগন্যাল ছাড়াই কাদির আমাকে বেধড়ক পেটায়। লাথি মারে আর অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এরপর আমার মোবাইল আটকে রাখে। আমি তাকে অনুরোধ করে বলি যে, যেহেতু আমাকে এরেস্ট করা হয়েছে আমার ফ্যামিলিকে জানানোর সুযোগ দেওয়া হোক। আমাকে ফ্যামিলির সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে না দিয়ে আরেক তরফা মারধর করে। যাতে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ চিড়ে যায়।

এর পর সে আমাকে বলে, “আমি ছাত্রলীগ করে এসেছি। তুই আমারে ক্ষমতা দেখাস?” খুবই দুঃখের বিষয় হল যে আজকাল পুলিশকে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করতে হচ্ছে অন্যায় কাজের বৈধতা পেতে। আমি প্রতিবাদ করে বলি, আপনি অকারণ ছাত্রলীগের নাম কেন কলুষিত করছেন? তিনি আমাকে আরও অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা পরে আমাকে আমার মোবাইল ফেরত দেয়। তারপর আমি আমার বড় ভাই চলচ্চিত্র পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খানকে ফোন করলে তিনি এসে আমাকে ছাড়িয়ে নেন। ততোক্ষণে আরও একজন উর্ধতন কর্মকর্তা এসে হাজির হন। তখন কাদির পুরো বিষয়টা উল্টে দিয়ে আমার ঘাড়েই দোষ চাপায় যা পুরোটাই মিথ্যা।

আমি সবিনয় নিবেদন করছি বাংলাদেশ পুলিশের যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট এর সুষ্ঠু তদন্ত করে সথাযত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমি ২৫ বছরের একজন তরুণ। পড়ালেখা করেছি দেশের বাইরে। নিজের দেশে ফিরে এসেই যদি এমন পরিস্থিতিতে পরতে হয় তবে মনেকরছি দেশ থেকে বিদেশই উত্তম।

আমার দাদু একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমার মা একজন প্রথম শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা। আমরা আমাদের প্রতিটি দিন কোন না কোন ভাবে দেশের সেবায় ব্যয় করি। সেই দায়বদ্ধতা স্থেকেই আমার দেশে ফেরৎ আসা। কিন্তু এ কেমন দেশ আমার??

১। প্রথমত তিনি শারীরিক ভাবে অপমান করেছে এবং এই নিয়ে তিনি অনুতপ্ত নয়।
২। তিনি আমার বাবা মাকে গালি দিয়েছেন।
৩। তিনি পকাশ্যে আমাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।
৪। তিনি ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে ক্রাইম করেছেন।
৫। তিনি কোন প্রকার আইনগত নির্দেশনা ছাড়াই আমাকে পিটিয়েছেন যার নিশানা আমার শরীরে লেগে আছে।
৬। তিনি সব কিছু অস্বীকার করে মিথ্যা বয়ান দিয়েছেন সিনিয়রের কাছে।

আশাকরি বাংলাদেশ পুলিশ বুঝতে সমর্থ হবে যে কতোটা বাজে সিচ্যুয়েশনের মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে। এটা কি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের চিত্র? এটাই কি আমাদের প্রিয় পুলিশের চিরায়ত রূপ?? এর কী বিচার হবে না? দুঃখজনক।

আনন্দ কুটুম-এর ফেসবুক থেকে

Saturday, February 9, 2019

অশ্লিলতার অভিযোগে ‘আনসাবস্ক্রাইব’ ঝড়ে ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির


অশ্লিলতার অভিযোগে দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার সালমান মুক্তাদিরের ইউটিউব চ্যানেল সালমান দ্যা ব্রাউনফিস আনসাবস্ক্রাইব ঝড়ের মধ্যে পড়েছে। ইতিমধ্যে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। তিনি দেশের সর্বপ্রথম ইউটিউবার হিসেবে খ্যাত।

এই আনসাবস্ক্রাইবের ঘটনার মূল সূত্রপাত হয় তার ইউটিউব চ্যানেলে ‘অভদ্র প্রেম’ টাইটেলে একটি ভিডিও টিজার প্রকাশ করার পর থেকে। এরপর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। এই সমালোচনায় বাড়তি মাত্রা যোগ করে ইউটিউবার তাহসিন এন রাকিব (তাহসিনেশন)।

৭ ফেব্রুয়ারী তাহসিনেশন তার ফেসবুক পেইজে এটি নিয়ে একটি পোস্ট করেন এবং ৫ লক্ষ কমেন্ট হলে এটি নিয়ে রোস্টিং ভিডিও করার কথা বলেন। কিন্তু মাত্র ৮ ঘণ্টায় ৫ লক্ষের বেশি কম্মেন্ট পড়ে তার পোস্টে। তাই শুক্রবার রাতে তাহসিনেশন ইউটিউব চ্যানেলে একটি রোস্টিং ভিডিও আপলোড করা হয় ।

রোস্টিং ভিডিও তে তাহসিন এন রাকিব ভিউয়ারদেরকে সালমান দ্যা ব্রাউনফিস চ্যানেলে আনসাবস্ক্রাইব করার কথা বলেন। ঐ ভিডিও আপলোড করার পর রাতেই সালমান মুক্তাদিরের চ্যানেলকে ৪৭ হাজার ১২ জন আনসাবক্রাইব করেছেন।


এই প্রতিবেদনটি লেখার আগ পর্যন্ত মোট ৭১ হাজার ৯৫৬ জন আনসাবস্ক্রাইব করেছেন। বর্তমানে সালমান দ্যা ব্রাউনফিস চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার রয়েছে ১১ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৮১ জন।

এখন দেখার বিষয় এই আনসাবস্ক্রাইব ঝড় কখন থামে। আনসাবস্ক্রাইবের রেকর্ড করে ফেলতে পারেন ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির।

Wednesday, February 6, 2019

আসর থেকে ‘মুকুটবিহীন সম্রাট’র বিদায়


মাশরাফি বিন মুর্তজা। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক। পরিসংখ্যানই বলবে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি সফলতা এনে দিয়েছেন মাশরাফি। আর দেশের সবচেয়ে বড় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ বিপিএলের দিকে যদি তাকানো হয় তাহলে একথা দ্বিতীয় বার ভাবতে হবে না যে, টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে মাশরাফিই সেরা অধিনায়ক। তিনিই ‘মুকুটবিহীন সম্রাট’।

২০১২ সালে ঢাকা গ্লাডিয়েটরসে এনে দিয়েছিলেন বিপিএলের প্রথম শিরোপা। পরের বছরও তাকে ধরে রেখেছিল ঢাকা। ফলাফল দ্বিতীয় বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে ঢাকা। এক বছর বিরতির পর ২০১৫ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে নেতৃত্ব দেন মাশারাফি। সেবারও তার হাতেই উঠে শিরোপা।

২০১৬ সালের আসরে মাশরাফির রাজত্বে ভাগ বসান ঢাকা ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে পরের বছরেই আবারো হারানো মুকুট পুনরুদ্ধার করেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক।

শিরোপা ধরে রাখার মিশনে চলতি আসরেও শক্তিশালী দল পেয়েছিলেন মাশরাফি। আসরের শুরুটা ভালো না হলেও এবি ডি ভিলিয়ার্স যোগ দেয়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। দাপট দেখিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকেই প্লে-অফে পা রাখে। তবে ফাইনালে উঠা দুইটা সুযোগই হাতছাড়া করে রংপুর। কুমিল্লার বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারার পর সেই সাকিবের বিপক্ষে হেরেই বিপিএল থেকে বিদায় নিতে হল মাশরাফিকে।

এখন দেখার বিষয় শুক্রবারের ফাইনালে সম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করবেন সাকিব নাকি নতুন রাজা হিসেবে আবির্ভূত হবেন ইমরুল কায়েস।

চুক্তি হচ্ছে, ভারতে ২৪ ঘণ্টাই বিটিভি দেখানো হবে


খুব শিগগিরই প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত এক শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।

ভারতে যাতে ২৪ ঘণ্টা বিটিভি প্রচার করা হয় সেজন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিটিভি চালু হলে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অন্যান্য মিডিয়াও সেখানে চালু হবে।

মন্ত্রীসভায় বাংলাদেশের সংবাদ শিল্প ও মিডিয়াকে আরও উন্নত করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া স্বাধীনভাবে যেন কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখব। আর দ্রুত নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করা হবে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন চ্যানেল তাদের প্রোগ্রামগুলোতে বেআইনিভাবে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, যা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোনো বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদান করে প্রচার করতে হয়। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই আপনারা সেগুলো থেকে বিরত থাকবেন আশা করছি।

ডিভোর্স হওয়া বাবা-মা’কে এক করলো দুই শিশু


১২ বছর আর ৯ বছরের দুই শিশু কাঁদছে। তাদের একই কথা ‘আমরা আর কিছু চাই না। শুধু মা-বাবাকে একসঙ্গে দেখতে চাই। তাঁদের সঙ্গে থাকতে চাই।’ দুই শিশুর এ কান্না ও আকুতিতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি তাদের মা-বাবা, বিচারপতি, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মীসহ উপস্থিত অনেকেই। বিয়ে বিচ্ছেদ হলেও শেষ পর্যন্ত শিশু দুটির কান্নায় মা-বাবাও বলতে বাধ্য হলেন, তাঁরা আবার একসঙ্গে সংসার করতে চান।

গতকালের এ ঘটনাটি ঘটেছে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে। আদালত দুই শিশুকে আপাতত বাবার হেফাজত থেকে নিয়ে মায়ের হেফাজতে দিয়েছেন। তবে শিশু দুটির কাছে অবাধে যেতে পারবেন তাদের বাবা। এ বিষয়ে আগামী ৪ জুলাই পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে। আদালতে দুই শিশুর বাবা মিয়া মো. মেহেদী হাসানের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট তাপস বল। মা কামরুন নাহার মল্লিকার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট এ কে এম রিয়াদ সলিমুল্লাহ।

কামরুন নাহার মল্লিকা রাজশাহীর শাহ মকদুম উপজেলার মেয়ে। ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে অধ্যয়নকালে তাঁর পরিচয় হয় মেহেদীর সঙ্গে। তিনি মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলার বাসিন্দা। পড়তেন ঢাকা কলেজে। পরিচয় থেকে দুজনের প্রেম। দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০০২ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। লেখাপড়া শেষ করে মেহেদী হাসান যোগ দেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে। আর মল্লিকা চাকরি নেন রাজধানীর ধানমণ্ডির একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। তাঁদের দুই ছেলে সালিম সাদমান ধ্রুব (১২) ও সাদিক সাদমান লুব্ধক (৯)।

বিয়ের ১৫ বছর ২০১৭ সালের ১২ মে বিয়েবিচ্ছেদ ঘটে তাঁদের। স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার এক সপ্তাহ আগে দুই সন্তানকে মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলার উমেদপুর গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মেহেদী হাসান। এরই মধ্যে কেটে গেছে একটি বছর।

মল্লিকার অভিযোগ, বারবার চেষ্টা করেও তিনি সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। এ কারণে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। নিজের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে শিশু দুটিকে হাইকোর্টে হাজির করতে গত ২৯ মে নির্দেশ দেন আদালত। ২৫ জুন তাদের হাজির করতে মোহম্মদপুর থানার ওসি ও শিশু দুটির বাবা মেহেদী হাসানকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দুই সন্তানকে কেন মায়ের হেফাজতে দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। আদালতের এ নির্দেশে পুলিশ শিশু দুটিকে গতকাল হাইকোর্টে হাজির করে। শিশু দুটির মা-বাবা, মামা, নানি, ফুফুসহ আত্মীয়-স্বজন আদালতে হাজির হয়। শুরু হয় দুই পক্ষের আইনজীবীর শুনানি।

মায়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, মা তাঁর সন্তানদের সঙ্গে পাঁচ মিনিটের জন্য কথা বলার সুযোগ চান। কিন্তু ফুফুর কারণে কথা বলতে পারছেন না। এরপর আদালত কথা বলার অনুমতি দিলে মা শিশু দুটির কাছে যেতেই মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাজুড়ে দেয়। এক বছরেরও বেশি সময় পর মাকে কাছে পেয়ে গলা জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে ৯ বছরের শিশু সাদিক সাদমান লুব্ধক অভিযোগ জানায়, ‘তুমি কেন ঈদে আমাকে ফোন করোনি?’ কাঁদতে কাঁদতে মা জবাব দেন, ‘ফোন করেছিলাম। তোমাদের চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমাকে দেয়নি।’

প্রকাশ্য আদালতে এ ঘটনা সবার মনে নাড়া দেয়, ছুঁয়ে যায়। যুক্তি-পাল্টাযুক্তির আদালতে তৈরি হয় আবেগঘন এক পরিবেশ। এরই মধ্যে বড় ছেলে ধ্রুব এক হাত দিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে বাবাকে ডাকতে থাকে। কিন্তু তিনি কাছে যাচ্ছিলেন না। এটা দেখে আদালত তাঁর বাবাকে শিশুটির কাছে যেতে নির্দেশ দেন। বাবা কাছে যাওয়ার পর শিশুটি তাঁকে বলে, ‘বাবা, তুমি মাকে সরি বলো। এরপর মাকে বলে তুমিও বাবাকে সরি বলো। আমরা আর আলাদা থাকতে চাই না। আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই।’

এ পর্যায়ে আদালত শিশু দুটিকে এজলাসের কাছে ডেকে নেন। শিশু দুটির বক্তব্য শুনতে চান আদালত। এ সময় বড় ছেলে ধ্রুব আদালতকে বলে, ‘আমরা বাবা ও মাকে একসঙ্গে দেখতে চাই। আমরা দুজনকেই চাই।’ বড় ভাইয়ের সঙ্গে সুর মেলায় ছোট ভাই লুব্ধকও।

এ সময় আদালত বলেন, ‘তোমরা জোরে জোরে বলো। তোমরা একসঙ্গে থাকতে চাচ্ছ। তোমাদের বাবা-মার শিক্ষা হোক।’ এরপর আদালত তার মা-বাবাকেও ডেকে নেন। সেখানেও ছেলে দুটি মা-বাবাকে পরস্পরকে হাত ধরার অনুরোধ জানাতে থাকে। একপর্যায়ে বড় ছেলে তার মা ও বাবার হাত নিয়ে একসঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে বলতে থাকে, ‘তোমরা আলাদা হয়ে গেলে কেন? আমরা আর কিছু চাই না। আমরা তোমাদের সঙ্গে থাকতে চাই।’

এমন পরিস্থিতিতে আদালত মা-বাবাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এটা দেখেও কি আপনাদের মন গলে না! আপনারা কি সন্তানের জন্য নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করতে পারবেন না? সন্তানের স্বার্থের চেয়ে আপনাদের ইগো বেশি হয়ে গেল? সামনে তাকিয়ে দেখুন, আপনাদের এ দৃশ্য দেখে সবার চোখ দিয়েই পানি পড়ছে।’

এরপর বিচারক খাসকামরায় গিয়ে মা-বাবা, ফুফু ও নানিকে ডেকে নিয়ে একান্তে কথা বলেন। এরপর এজলাসে উঠে আদালত আদেশ দেন, শিশু দুটির ইচ্ছা তাদের মা ও বাবা একসঙ্গে থাকবেন। এ কারণে আপাতত তারা মায়ের হেফাজতে থাকবে। আগামী ৪ জুলাই পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে। এরপর আদালত ধ্রুবকে ডেকে বলেন, বাসায় তোমার মা-বাবা কী করেন, তা জানাবে। এরপর আদালত পুলিশকে শিশু দুটিকে মায়ের হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

পরে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ধারণা বাচ্চাদের আকুতি হয়তো বাবা ও মায়ের মনে দাগ কেটেছে। এ কারণেই হয়তো মা-বাবা তাঁদের দাম্পত্য জীবনের কলহ ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

আদেশের পর কামরুন নাহার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের পেয়েছি। আমি খুশি। এর থেকে বেশি কিছু বলার ভাষা নেই।