Thursday, February 14, 2019

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে সব রোগী বের করা হয়েছে


রাজধানীতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ভবনে আগুন লেগেছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অনেক রোগীকে সোহরাওয়ার্দী ছেড়ে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চলে যেতে দেখা যাচ্ছে।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ বলেন, হাসপাতালে ১৫ শতাধিক রোগী ছিল। তারা আগুন লাগার পর বেরিয়ে এসেছেন। বেরিয়ে এসেছে

তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ভবনে যত রোগী ছিল সবাইকে বাইরে আনা হয়েছে। ছাত্র, ডাক্তার, নার্স ও রোগীর স্বজনের সহযোগিতায় রোগীদের বাইরে আনা সম্ভব হয়েছে। ভেতরে আর কোনও রোগী নাই বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের নতুন ভবনে বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার জানান, আগুনের চেয়ে ধোঁয়ার পরিমাণ বেশি।
শের ই বাংলা নগর থানার এসআই রাজিব জানান, হাসপাতালের নতুন ভবনের স্টোর রুমে আগুন লেগেছে। কোনও হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।

সূত্র জানায়, আগুনের কারণে হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া আজ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যাদের জরুরি সেবা দেওয়া প্রয়োজন তাদের মাঠের মধ্যেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, এখানে যাদের চিকিৎসা চলছিল তাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে পাঠানো রোগীদের জরুরিভাবে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অন্যান্য হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এ হাসপাতালের রোগীদের ঢাকা মেডিক্যাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদাসহ অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ধোঁয়া পুরো হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়েছে। স্টোর রুম ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ আগুনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান।