This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Showing posts with label Bangladesh. Show all posts
Showing posts with label Bangladesh. Show all posts

Thursday, February 21, 2019

আগুনে নিহত যাদের পরিচয় মিলেছে


রাজধানীর চকবাজার আবাসিক এলাকার ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা সর্বশেষ দাঁড়িয়েছে ৭০ জন। সকাল ৯ টায় ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশ রয়েছে ৬৭ জনের। এর মধ্যে পরিচয় সনাক্ত করা গেছে ৪১ জনের।


তারা হলেন-  রাজু (৩০), মাসুদ রানা (৩৫), সিদ্দিকুল্লাহ (৪৫), আবু বকর সিদ্দিক (২৭), আলি মিয়া (৭৫), মোসারফ হোসেন(৩৮), কামাল হোসেন (৫২),ইয়ামিন খান রনি (৩২), জুম্মন(৬৫), এনামুল হক অভি (২৮), মজিবর হাওলাদার (৪৫), ওমর (৩৫), মোহাম্মদ আলী (৩২), আবু রায়হান (৩১), আরাফাত (৩), ডা. ইমতিয়াজ ইমরোজ রাসু (২৪), হেলাল (৩০), সোনিয়া (২৮), মিঠু, সাহির, রহিম দুলাল (৪৫), হীরক, নাসির, মঞ্জু, আনোয়ার, কাওসার, আয়সা খাতুন, আরমান হোসেন, মামুনুর রশিদ, আবু তাহের, রুবেল হোসেন, সৈয়দ আলাউদ্দিন, মুছা, ইলিয়াস মিয়া, মো. হোসেন বাবু, খলিলুর রহমান, ইসলাম হানিফ, নবী উল্লাহ খান, মিজানুর।


বুধবার আনুমানিক দিবাগত রাত পৌনে ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, চুড়িহাট্টা মসজিদের সামনে একটি গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন আশপাশের অন্যান্য ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ষ্টেশনের ৩৭টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে।বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের ২০০ জন কর্মি ছাড়াও কাজ করেছে রেড সেন্ট,বাংলাদেশ স্কাউটসহ অনেকে।

এদিকে আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধ হওয়া আহত ৪১ জন কে মিটফোর্ড ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সবকিছু ছাই হলেও, অস্তিত্ব রইলো নূরানি কায়দার


নূরানি কায়দার – রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মর্মান্তিক বিবরণ পাওয়া যায় স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লাশের সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়েছে। কাজেই চকবাজারসহ পুরান ঢাকার বাতাস ছিল শোক আর আর্তনাদে ভারী।

ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, রিকশাভ্যান, রাসায়নিক, দাহ্য পদার্থ, বডি স্প্রে, বোতল, পাউডার, প্লাস্টিকের দানা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ভস্মীভূত হওয়া ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে আরও একটি দুর্ঘটনা।

নিম্নমানের সিলিন্ডার দিয়ে কীভাবে ব্যবসা করার অনুমতি পায় তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন কেউ কেউ। ঘটনাস্থলের কাছে একটি মসজিদ। আশপাশের সব কিছু পুড়ে গেলেও অক্ষত আছে মসজিদটি। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মুদি দোকান। ছাইয়ের মধ্যে পড়ে আছে নুরানি কায়দা।

কালো বর্ণের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে গোটা গোটা আরবি হরফগুলো একমাত্র রক্ষা পাওয়া বস্তু। যে ভবনটি থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত, তার কাছের একটি বাড়িতে থাকেন শিল্পী আকতার। তিনি বলেন, রাতে ১টা গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বের হয়েছিলাম। তখন দেখি কালো ধোঁয়ায় সব ছেয়ে গেছে। ক্ষিপ্র আগুন ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে।

প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার বলেন, পাশের কমিউনিটি সেন্টারে গায়েহলুদের অনুষ্ঠান ছিল। একটা গাড়ি সেখানে এসে থামলে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে ওপরে উঠে যায় সেটি। একেবারে হলিউডের চলচ্চিত্রের গাড়ি ধ্বংসের দৃশ্যের মতো। মসজিদের পাশেই মদিনা ফার্মেসি। সেখানে ওষুধ কিনতে এসেছিলেন ৪৩ বছর বয়সী আয়শা বেগম। কিন্তু আর প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারেননি।

তার ভাইয়ের ছেলে রাতুল বলেন, তিনি রাতের বেলায় ওষুধ কিনতে বের হন। পরে আর তার খোঁজ পাইনি। সকালে খবর পেলাম ৪৮ নম্বর সিরিয়ালে তার মরদেহ। দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে তার।

প্লাস্টিকের দানার ব্যবসায়ী সাবির বলেন, মসজিদের সামনে এখানে দুটি প্রাইভেটকার ছিল, আরেকটা পাউডারের গাড়ি ভুল পাশে দাঁড় করানো ছিল, এসময় একটা রিকশা মসজিদের সামনে যাওয়ার পর সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে।রিকশাতে একটা শিশু ছিল। সবাই মারা গেছেন।

নাছির আহমেদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, রিকশায় এক নারী তার সন্তানকে রক্ষার জন্য আকুতি করছিলেন। ইচ্ছা করলে তিনি নিজে বাঁচতে পারতেন। কিন্তু সন্তানকে বুকে নিয়ে মৃত্যুকে বেঁচে নিয়েছেন তিনি।

## ছোট বোনের বিয়ের বাজার করতে গিয়ে লাশ হলেন ভাই-বন্ধুরা:

মার্চেই ছোট বোনের বিয়ে। শুভদিন ১০ তারিখ। নানান ব্যস্ততা। রোহান তার পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে গেছে পুরনো ঢাকার চকবাজারে। তিনটি বাইকে ছয় বন্ধু। কমিউনিটি সেন্টার বুকড, নানান শপিং করা জরুরি। সময়ও ফুরিয়ে আসছে। তাই রোহান বন্ধুদের নিয়ে যাচ্ছিলেন চুড়িহাট্টার গলিপথ দিয়েই।

কিন্তু রোহানরা কি জানত তাদের এই হাসি ঠাট্টা মিইয়ে যাবে আগেুনের লেলিহান শিখায়। তাদের পথচলার গতিকে থামিয়ে দেবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুনের গতি। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রোহান আর তার তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার করা হয় চকবাজার থেকে। মর্গে এখন নাতি রোহানের জন্য লাশের অপেক্ষা নানা ও মা।

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর শোনার পর সারারাত ঘুমাননি প্রধানমন্ত্রী


পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনামাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব চিন্তিত ও বিমর্ষ হয়ে পেড়েছেন। সারারাত তিনি ঘুমাতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন চুড়িহাট্টা মোড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় এ তথ্য জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় ৭০ জনের প্রাণহানি এবং ৪১ জনের আহত হওয়ার খবর তুলে ধরা হয়। আহতদের মধ্যে দগ্ধ নয়জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনার পর থেকে সার্বক্ষণিক অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখেন। তিনি সুষ্ঠুভাবে উদ্ধার তৎপরতায় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দেন। সারারাত তার তত্ত্বাবধানে আমরা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেছি।

বাবার লাশের জন্য দুই যমজ শিশুর অপেক্ষা


পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকান্ডে নিহত হয়েছেন এইচ এম কাওসার আহমেদ। ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। কাজ করতেন চুড়িহাট্টায় এক ফার্মেসিতে। চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ আগুনে কাওসার আহমেদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

প্রতিদিনের মতো গতকালও কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরা হলো না। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ এখন ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানে কাওসার আহমেদের ৪ মাস বয়সের ২ বাচ্চা বাবার লাশের জন্য অপেক্ষায় করছেন। নিহতদের স্বজনদের কোলে মর্গের সামনে এই শিশুদের দেখা যায়।

উল্লেখ্য, বুধবার আনুমানিক দিবাগত রাত পৌনে ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিদেশি সাংবাদিকদের পেটাল রোহিঙ্গারা


কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জার্মানের তিন সাংবাদিক ও পুলিশসহ ছয়জনকে ব্যাপক পিটিয়েছে রোহিঙ্গারা। এ সময় ভেঙে দেয়া হয়েছে তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও।

আহত জার্মান সাংবাদিকরা হলেন- ইয়োচো লিওলি, এস্ট্যাটিউ এপল ও গ্রান্ডস স্ট্যাফু। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশি দোভাষী হলেন মো. সিহাবউদ্দিন (৪১) ও গাড়ির চালক নবীউল আলম (৩০)।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট এর লম্বাশিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন জানান, জার্মান সাংবাদিকরা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন থেকে সংবাদ সংগ্রহ শেষ ফেরার পথে লম্বাশিয়ায় বাজারে এক রোহিঙ্গা পরিবারকে জামা কাপড় কিনে দিচ্ছিলেন। এ সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে জাকির হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যও রোহিঙ্গাদের হামলায় আহত হন। রোহিঙ্গারা বিদেশিদের ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করে।

হামলাকারীরা ক্যামেরা কাগজপত্র (পাসপোর্ট) ও সাথে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে সেনা ক্যাম্প হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তিনি আরো জানান, জার্মান সাংবাদিকদের হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে ও মালামাল উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

Tuesday, February 19, 2019

২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে যাতায়াতের রুট-ম্যাপ


মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজিমপুর কবরস্থান ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের জন্য একটি রুট-ম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘একুশে উদ্‌যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি’ এই রুট-ম্যাপ প্রণয়ন করে।

সোমবার জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রুট-ম্যাপটি আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত ৮:০০টা থেকে কার্যকর হবে।

রুট-ম্যাপ অনুযায়ী যাতায়াত ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নরূপ-

১. পুরোনো হাইকোর্টের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল ক্রসিং, বাংলা একাডেমি, টিএসসি মোড়, উপাচার্য ভবনের পাশ দিয়ে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি মোড়, নিউমার্কেট-ক্রসিং পার হয়ে আজিমপুর কবরস্থানের উত্তর দিকের গেট দিয়ে কবরস্থানে প্রবেশ করবেন এবং শহীদদের কবর জিয়ারতের পর আজিমপুর কবরস্থানের মূল গেট (দক্ষিণ দিকের) দিয়ে বের হয়ে আজিমপুর সড়ক হয়ে পলাশী মোড় ও ফুলার রোড মোড় হয়ে অর্থাৎ সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যাবেন ।

২. কবরস্থানে না গিয়ে বিকল্প পথে যারা শহীদ মিনারে যেতে চান তারা উপাচার্য ভবন পার হয়ে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি মোড় থেকে বাম দিকের রাস্তা দিয়ে (জহুরুল হক হলের পশ্চিমের রাস্তা) সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা হয়ে শহীদ মিনারে যেতে পারবেন।

৩. নিউমার্কেট  ক্রসিং  থেকে  হোম  ইকোনমিকস ও  ইডেন কলেজের সামনের রাস্তা দিয়েও আজিমপুর (বেবী আইসক্রীম) মোড়, পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা হয়ে শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে।

৪. চাঁনখার পুল এলাকা থেকে বকশি বাজার মোড় হয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়েও পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা দিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে ।

৫. বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, টিএসসি মোড় থেকে জগন্নাথ হলের পূর্ব পাশের রাস্তা অর্থাৎ শিব বাড়ির পশ্চিম পাশ দিয়ে শহীদ মিনারে ও মেডিকেল কলেজে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।  উপাচার্য ভবনের গেট থেকে ফুলার রোড হয়ে ফুলার রোড মোড় পর্যন্ত রাস্তা এবং চাঁনখার পুল থেকে কার্জন হল পর্যন্ত রাস্তা জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ  থাকবে ।

৬. শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর ও পেছনের রাস্তা দিয়ে চাঁনখার পুল হয়ে শুধুমাত্র প্রস্থান করা যাবে, শহীদ মিনারের দিকে আসা যাবে না।

Friday, February 15, 2019

জবি’তেও ‘প্রেমবঞ্চিতদের’ বিক্ষোভ


ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কিছু শিক্ষার্থী।

বঞ্চিত প্রকৃত প্রেমিক সংঘের ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে র‌্যালিটি বের হয়ে ক্যাম্পাসে প্রদক্ষিণ শেষে রফিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

‘আমার ভাই সিঙ্গেল কেন জবাব চাই। কেউ পাবে, কেউ পাবে না তা হবে না তা হবে না। দুষ্টু প্রেমিক নিপাত যাক, প্রকৃত প্রেমিক মুক্তি পাক।’ এমন সব স্লোগান দেন তারা।

এ সময় সংগঠনটির সভাপতি ইমরান হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি নিবন্ধ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আয়িক হাসানসহ বঞ্চিত প্রকৃত প্রেমিক সংঘের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেন ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী।

Thursday, February 14, 2019

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে সব রোগী বের করা হয়েছে


রাজধানীতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ভবনে আগুন লেগেছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অনেক রোগীকে সোহরাওয়ার্দী ছেড়ে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চলে যেতে দেখা যাচ্ছে।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ বলেন, হাসপাতালে ১৫ শতাধিক রোগী ছিল। তারা আগুন লাগার পর বেরিয়ে এসেছেন। বেরিয়ে এসেছে

তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ভবনে যত রোগী ছিল সবাইকে বাইরে আনা হয়েছে। ছাত্র, ডাক্তার, নার্স ও রোগীর স্বজনের সহযোগিতায় রোগীদের বাইরে আনা সম্ভব হয়েছে। ভেতরে আর কোনও রোগী নাই বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের নতুন ভবনে বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার জানান, আগুনের চেয়ে ধোঁয়ার পরিমাণ বেশি।
শের ই বাংলা নগর থানার এসআই রাজিব জানান, হাসপাতালের নতুন ভবনের স্টোর রুমে আগুন লেগেছে। কোনও হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।

সূত্র জানায়, আগুনের কারণে হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া আজ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যাদের জরুরি সেবা দেওয়া প্রয়োজন তাদের মাঠের মধ্যেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, এখানে যাদের চিকিৎসা চলছিল তাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে পাঠানো রোগীদের জরুরিভাবে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অন্যান্য হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এ হাসপাতালের রোগীদের ঢাকা মেডিক্যাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদাসহ অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ধোঁয়া পুরো হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়েছে। স্টোর রুম ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ আগুনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড


রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের নতুন ভবনে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার জানান, বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। আগুনের চেয়ে ধোঁয়ার পরিমাণ বেশি।

শের-ই- বাংলা নগর থানার এসআই রাজিব জানান, হাসপাতালের নতুন ভবনের স্টোর রুমে আগুন লেগেছে। কোনও হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।

Wednesday, February 13, 2019

ফাগুনে প্রেমিকের সঙ্গে বের হয়ে না ফেরার দেশে মেডিকেল ছাত্রী


ফাল্গুনে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এক মেডিকেল ছাত্রী। এ ঘটনায় তার প্রেমিক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী পাবনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী তানজিলা হায়দার (২২) নিহত হন। নিহত তানজিলা হায়দার রাজশাহীর লক্ষ্মীপুরের সাম্মাক হায়দারের মেয়ে ও পাবনা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে ঘুরতে বের হন তানজিলা। সারাদিন ঘুরে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।

এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তানজিলা। এ ঘটনায় তার বয়ফ্রেন্ড আহত হলেও তার নাম জানা যায়নি।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিএসএফের নির্যাতন, প্রতিবাদে বেনাপোল বন্ধ


বেনাপোল-ঝিকরগাছা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক আ. রহমান কালু জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় বাংলাদেশি ট্রাক শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন করে আসছে বিএসএফ সদস্যরা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করার পর তাদের আর বাইরে বের হতে দেয়া হয় না। ফলে প্রায়শই চালকদের থাকতে হয় অনাহারে অর্ধাহারে। এতে চালকরা প্রতিবাদ করলে তাদরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি ট্রাক শ্রমিক হয়রানির প্রতিবাদে সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে দু দেশের মধ্যে আমদানি বাণিজ্য সচল রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

অবসরে কেন গ্রামে থাকতে চান, সংসদে জানালেন প্রধানমন্ত্রী


যে গ্রামে জন্মেছি ও বেড়ে উঠেছি সে গ্রামের স্মৃতি বড় মধুর। গ্রামের কাদা মাটি মেখে বড় হয়েছি। এ স্মৃতি কোনো দিন ভোলা যায় না, মোছা যায় না। গ্রামের নির্মল বাতাস এখনও আমাকে টানে।

ইট পাথরের এই নগরী আর ভালো লাগে না। গ্রামের নির্মল বায়ু, খোলা মেলা আকাশ। প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেয়া যায়। এ কারণে অবসরে গ্রামে থাকা আমার খুব আকাঙ্ক্ষা।

বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা পার্টির (ভিডিপি) ৩৯তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের পরে তিনি তার গ্রামে বাস করবেন।

তিনি বলেন, ‘যখনই আমি রাজনীতি থেকে অবসর নেব, আমি আমার গ্রামে চলে যাব এবং এটিই আমার সিদ্ধান্ত।’

পহেলা ফাল্গুন উদযাপনের নামে হোটেলে গিয়ে ৩১ প্রেমিক-প্রেমিকা ধরা


পহেলা ফাল্গুনে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আবাসিক হোটেল থেকে ৩১ জন তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৯ তরুণ-তরুণীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর দুইজন স্কুলছাত্রী, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদের সেফহোমে পাঠানো হয়েছে।

পহেলা ফাল্গুন ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অসামাজিক কাজ প্রতিরোধে বুধবার সকাল থেকে ফরিদপুর শহরে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এরপর দুইটি আবাসিক হোটেল থেকে ৩১ তরুণ-তরুণীদের আটক করা হয়। দুপুরের দিকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পারভেজ মল্লিক।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ রয়েছে ফরিদপুর শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল প্রতিনিয়ত অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে শহরের রংধনু আবাসিক হোটেল ও হোটেল গুলশান প্যালেসে অভিযান চালানো হয়।

এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী হাকিম পারভেজ মল্লিক বলেন, সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও মাদকমুক্ত শহর গড়তে জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটক ৩১ জনের মধ্যে ২৯ জনের প্রত্যেককে দণ্ডবিধির ২৯৪ এর ‘ক’ ধারা মোতাবেক ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, আটকদের মধ্যে দুইজন স্কুলছাত্রী, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাই তাদের সেফহোমে পাঠানো হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিন দিনের টার্গেট ৭০ কোটি টাকার ফুল


ফাগুন আসতে আর মাত্র একদিন। কিন্তু ফাগুন হাওয়া বইতে শুরু করেছে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই। তাই ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, একদিন পরই আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে বসন্ত। এই বসন্তের দ্বিতীয় দিনই আবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। যেদিন খোঁপায়, শরীর ও মন জুড়ে শুধুই রঙিন ফাগুনের সাজ। তার উপর আবার এই বসন্তেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

তাই এ দিবসগুলোর বাজার ধরতে এখন সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত যশোরের ফুলচাষীরা। তাদের কাছে ফেব্রয়ারি মাস ফুল ব্যবসার উৎসব হিসেবেও বিবেচিত। এ সময়কে কেন্দ্র করে এখানকার ফুল ব্যবসায়ীদের থাকে বিশেষ প্রস্তুতিও।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির তথ্য মতে, এবার যশোরে পাইকারি পর্যায়ে ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।


সূত্র জানায়, যশোরে প্রায় ৬ হাজার ফুল চাষী ৩৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার ফুল চাষে সম্পৃক্ত। এখানে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় গ্লাডিওলাস ফুল। মোট ফুলের শতকরা ৪০ ভাগ চাষ হয় এটি। এরপরই ২০ ভাগ চাষ হয় রজনীগন্ধা ফুল। আর গোলাপ চাষ হয় শতকার ১৫ ভাগ। এছাড়া এখানকার চাষিদের উৎপাদিত জারবেরা, গাঁদা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্র মল্লিকাসহ ১১ ধরনের ফুল সারাদেশের মানুষের মন রাঙাচ্ছে।

সোমবার সরেজমিনে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি, পানিসারা, নাভারণ, নিরবাসখোলা এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে জমিতে সেচ প্রদান, গোলাপের কুঁড়িতে ক্যাপ পরানো, সার কীটনাশক, আগাছা পরিষ্কার করাসহ ফুলের আনুসাঙ্গিক পরিচর্যা করছেন ফুলচাষিরা। তাদের লক্ষ্য এ মাসের প্রতিটা ফুলের বাজার ধরা।

পানিসারা, মাঠপাড়া এলাকার ফুলচাষি রহমত জানান, ফুল চাষে আসা বংশ পরম্পরায়। তার বাবা ফুল চাষ করতেন। এখন তিনিও ফুল চাষের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি জানান, চার বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছেন। তার মধ্যে রজনীগন্ধা দুই বিঘায়। এক বিঘায় গোলাপ ও এক বিঘায় জারবেরা।

সামনে ফুলের বড় বাজার, তাইতো বাজার ধরতে সকাল-বিকাল ফুলের পরিচর্যা করছেন এই ফুলচাষি। গদখালিতে কথা হয় তরুণ ফুলচাষি আশরাফের সাথে। তিনি বলেন, চার বিঘায় গোলাপ, দুই বিঘায় জারবেরা ও ১ বিঘায় গ্লাডিওলাস ও রডস্টিক চাষ করেছেন।


আশরাফ আরও বলেন, আমরা গোলাপের কুঁড়িতে ক্যাপ পরিয়ে রাখি, যাতে ফুল একটু দেরি করে ফোটে। বসন্ত দিবস, ভালবাসা দিবস আর ২১ ফেব্রুয়ারিতে যাতে ফুল বাজারে দেয়া যায়।

‘প্রতিটি গোলাপে ক্যাপ পরানোসহ খরচ প্রায় ৪ টাকার মতো পড়ে। ৭-৮ টাকা বিক্রি করা গেলে ভালো মুনাফা হয় বলে জানান এই ফুলচাষি।' তিনি বলেন, ফুল চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি সফলভাবে ফুল চাষ করে যাচ্ছেন।

নাভারণের ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী নজরুল আলম বলেন, তিনি ফুল ব্যবসার সাথে সাথে ফুল চাষও করছেন। তার চাষের মধ্যে জারবেরা, গাঁদা, জিপসি, রজনীগন্ধাসহ বেশ কয়েকটি ফুল লাভজনক হয়েছে। কিন্তু তার জারবেরা ফুলে মাকল পোকা আক্রমণ করেছে। সেই সাথে সাদা মাছির উপদ্রব।

এই ফুলচাষি বলেন, কৃষি কর্মকতাদের পরামর্শ মতো কীটনাশক দিয়ে এই পোকামাকড় বিস্তার নষ্ট করার চেষ্টা করছি। গত দু-তিনমাস ব্যবসাটা কিছুটা খারাপ গেছে। সময়মতো সামনের দিবসগুলোতে যদি বাজার ধরতে পারি তাহলে ৭/৮ লাখ টাকার মতো ফুল বিক্রয় করতে পারবো।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলাসহ এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ হচ্ছে। ১৯৮৩ সালে গদখালীতে মাত্র ৩০ শতক জমিতে ফুল চাষ শুরু হয়। এখন চাষ হচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে। দেশে ফুলের মোট চাহিদার ৭০ ভাগই যশোরের গদখালী থেকে সরবরাহ করা হয় বলে জানান তিনি।

শুধু দেশে নয়, এখন এই ফুল দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়াতেও যাচ্ছে বলে জানান ফুল ব্যবসায়ীদের এই নেতা। তিনি আরও বলেন, ফুল চাষ, ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়।

আব্দুর রহিম বলেন, এই ফেব্রুয়ারি মাসকে ঘিরে প্রায় ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সারা বছর টুকটাক ফুল বিক্রি হলেও মূলত ফেব্রুয়ারি মাসের তিনটি উৎসবকে সামনে রেখেই জোরেশোরে এখানকার চাষিরা ফুল চাষ করে থাকেন।

তিনি অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি প্লাস্টিক ফুল আমদানি বা তৈরি করছে। এজন্য ফুল চাষ ও এর ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্লাস্টিক ফুল বাজারজাত ও সরবারহ বন্ধ করা গেলে ফুল চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশও ফুল রপ্তানি করা যাবে।

তিনি বলেন, ঢাকায় স্থায়ী ফুলের বাজার স্থাপন করতে পারলে ফুলের চাষ ও ব্যবসার প্রসার ঘটবে।

মিতুকে আবারো রিমান্ডে চায় পুলিশ


চট্টগ্রামে চিকিৎসক আকাশের আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ডাক্তার মিতুকে আবারো রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক প্যাটেলের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পেরেই, স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য এবং তার জেরেই আকাশ আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত।

তবে এর সাথে মিতুর আর কোনো বন্ধুর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না জানার জন্য, দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেয়ার সিদ্ধান্ত পুলিশের।

স্বামীর আত্মহত্যার প্ররোচনায় গ্রেফতারকৃত স্ত্রী ডাক্তার মিতুর তিন দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিকে ডাক্তার মিতু দাম্পত্য জীবনে কলহের বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আকাশ ও মিতুর মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া নানা তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনের পর মিতু অনেকটা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, ‌‘যে মোবাইলে এসএমএস বা ডকুমেন্ট ছিল, যার কারণে আকাশের আত্মহত্যা সেই এসএমএসগুলো আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে আরো কিছু ডকুমেন্ট আছে, যেগুলো ডিলেট করে দেয়া হয়েছে সেগুলোর জন্য সিআইডির সাহায্য নিয়েছি।’
এ ঘটনায় আকাশের মা জোবেদা খাতুন বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ডাক্তার মিতুর মাসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মিতু ছাড়া বাকিরা পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চিকিৎসক আকাশের ভাই।
মৃত আকাশের ভাই ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, আরো ডকুমেন্ট আছে। পুলিশের কাছে আছে, ফরেনসিক বিভাগে আরো কিছু বের করা হবে।

আত্মহত্যার পরপরই আকাশ এবং মিতু দু’জনেরই মোবাইল থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রহস্যজনকভাবে ডিলিট হয়ে যায়। মুছে যাওয়া তথ্য পুনরুদ্ধারে মোবাইলের ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সিআইডি’র কাছে। সে সাথে দু’একদিনের মধ্যে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে আদালতে।

অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, ‘মিতুর সঙ্গে আর কার কার সম্পর্ক ছিল এছাড়া যেদিন আত্মহত্যা করে, সে দিন কি কি বিষয় নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়েছিল তাদের উদ্দেশ্য ছিল অর্থাৎ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কি চাচ্ছিল এগুলো জানতে হবে।’

গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে নগরীর চান্দগাঁও এলাকার বাসায় শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করে চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। তবে আত্মহত্যার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার করুণ পরিণতির জন্য স্ত্রী ডাক্তার তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে দায়ী করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর অবসরের তারিখ চান রিজভী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবসরের তারিখ জানতে চেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন। আমরা সেই তারিখটা জানতে চাই।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় আজ একটি খবর দেখে চমকে উঠলাম- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করে বাকি জীবনটা কাটাবেন তার পূর্বপুরুষের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে।’

খবরে প্রকাশিত তথ্যকে স্বাগত জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলব খুব ভালো খবর। জনগণ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ গণনা শুরু করেছে। কবে আসবে সেই সুখবর যে, আপনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন। আমরা সেই তারিখটা জানতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রীকে খুব তাড়াতাড়ি অবসরে যাওয়ার পরামর্শ  দিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমরা বিনীতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো আপনি অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তটি দ্রুত কার্যকর করুন। খুব তাড়াতাড়ি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে মুক্তি দিন।’

ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত


‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে/তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে/কোরো না বিড়ম্বিত তারে-’ এভাবেই ঋতুরাজ বসন্তের বন্দনা করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বসন্ত উপলব্ধি করেছেন এভাবে ফুল ফুটুক আর না ফুটুক/আজ বসন্ত।’ হ্যাঁ, গাছের শাখার শাখায় রঙিন ফুলের পসরা সাজিয়ে, ঝরিয়ে দিয়ে মলিন পাতার রাশি, আজ বুধবার পহেলা ফাল্গ–ন, আজ বসন্তের প্রথম দিন।

ছয় ঋতুর বাংলায় বসন্তের রাজত্বে প্রকৃতি সিদ্ধ হবে। ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রং-তুলির আঁচড়ে শেষ হওয়া নয়। কোনো কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তবুও বসন্ত বন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন শেষ নেই। গাছে গাছে ফুল ফুটুক আর নাই-বা ফুটুক, বসন্ত তার নিজস্ব রূপ মেলে ধরবেই। ফাগুনের আগুনে, মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে। বাঙালির ইতিহাস আবেগের। এ আবেগ যেমন মানুষে মানুষে ভালোবাসার, তেমনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতিরও বটে। দিন-ক্ষণ গুনে গুনে বসন্ত বরণের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি।

কালের পরিক্রমায় বসন্ত বরণ আজ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উন্মাদনায় মেতে উঠবে। শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। শীত চলে যায় রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরাজীর্ণ।

বসন্তকে সামনে রেখে গ্রামবাংলায় মেলা, সার্কাসসহ নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষ মন রাঙাবে বাসন্তী রঙেই। শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও। তরুণীরা বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে প্রকৃতির কোলে নিজেকে সপে দিতে চাইবে। অন্যদিকে বসন্তের উদাস হাওয়ায় তরুণরা নিজেকে প্রকাশ করার মধ্যদিয়ে প্রকৃতির মন কাড়তে চাইবে। বসন্ত যেন মানব মন আর প্রকৃতির রূপ প্রকাশের লীলা-খেলা। বসন্ত উৎসব কেবল গ্রামীণ আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। শহুরে মানুষের কাছেও বসন্তের আবেদন ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে শহরের তরুণ-তরুণীরা বসন্ত বরণে দিনভর ব্যস্ত থাকে। ফুলে ফুলে ভরে যাবে তরুণীর চুলের খোঁপা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসবে খাবারের মেলা। এ দিন দর্শনীয় স্থানগুলোয় মানুষের পদচারণায় যেন তিল ধরার ঠাঁই থাকে না।

প্রকৃতির মতোই শিল্প-সাহিত্য এমনকি রাজনীতিতেও বসন্ত বাঙালি জীবনে তাৎপর্যময়। এ বসন্তেই ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। বসন্তেই বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের শুরু। বসন্তের আগমনবার্তা নিয়ে আসে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ ও ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। রাজধানীতে ১৪০১ বঙ্গাব্দে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে প্রতিবছর জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ এ আয়োজন করে আসছে। রাজধানীতে এ বছরের বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানমালা আরো ব্যাপকতা লাভ করেছে।

পহেলা ফাল্গ–নে আজ রাজধানীতে রয়েছে ব্যাপক আয়োজন। চারটি স্থানে আয়োজন করা হয়েছে ‘বসন্ত উৎসব’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় দিনব্যাপী এবং ধানমণ্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চ, লক্ষ্মীবাজারের বাহাদুরশাহ পার্ক ও উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চে বিকাল থেকে রাত অবধি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবে যন্ত্রসঙ্গীত, বসন্তকথন পর্ব, প্রীতিবন্ধনী, আবির বিনিময়, একক আবৃত্তি, দলীয় আবৃত্তি, একক সঙ্গীত, দলীয় সঙ্গীত, দলীয় নৃত্য, আদিবাসীদের ও শিশু-কিশোরদের বিশেষ পরিবেশনা থাকবে। দেশের অগ্রগণ্য দল ও বরেণ্য শিল্পীরা এ অনুষ্ঠানমালায় অংশ নেবেন।

শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে ৩ দিনব্যাপী ‘বসন্ত উৎসব’। একাডেমি প্রাঙ্গণে নন্দনমঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় থাকবে সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি। প্রতিদিন অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল সাড়ে ৫টায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শহরকেন্দ্রিক বসন্ত উৎসবের সবচেয়ে বড় ঢল নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলাভবনের সামনে ঐতিহাসিক বটতলায় সমগীত সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণ ঢাকা শাখার আয়োজনে হয় বসন্ত বরণ উৎসব। চারুকলায় জাতীয় বসন্ত উদযাপন কমিটি বসন্ত বরণের উৎসব করে। যার বহুমাত্রিক ব্যাপকতা দিনদিন বাড়ছে। যার স্পর্শ ছুঁইয়ে যায় বইমেলাতেও।

বসন্ত উদযাপন পরিষদের আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মানজারুল ইসলাম চৌধুরী সুইট বলেন, ‘শহরে বসন্ত উদযাপন ভিন্নমাত্রা নিয়ে এসেছে। সকাল থেকেই আজ মানুষের ঢল নামবে। আমরা প্রতি বছর এই উৎসবটির আয়োজন করি। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির আজ এত বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও দোলা দেয়। যে যে বয়সেই থাকুক না কেন বসন্ত উৎসব হচ্ছে তারুণ্যের উৎসব।’

Monday, February 11, 2019

আপনি তো মেয়ে না, আপনাকে চাপ দিলে সমস্যা কী?


আমি শরাফুল আলম সুমন ওরফে আনন্দ কুটুম। একজন প্রধান সহকারী বিজ্ঞাপন নির্মাতা। আজ আনুমানিক দুপুর চারটার দিকে গ্রামীণ ইন্টেলের অফিসে একটা মিটিং শেষে আমি মহাখালী গুলশান রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে গুলশান ১ এর দিকে আসছিলাম।

পথিমধ্যে চেকপোস্ট-২ (ব্রিজের উপর) এ আমাকে পুলিশ আটকে তল্লাসি করতে চাইলে আমি দাড়িয়ে অনুরোধ করি যে আমার হাতের জ্বলন্ত সিগারেটটা শেষ করার জন্য দুই মিনিট সময় দেওয়া হোক। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সময় দিলে আমি পাশে আইল্যান্ডের উপর দাঁড়িয়ে সিগারেট শেষ করে তার কাছে ফিরে এসে জিগ্যেস করি, বলুন।

তিনি আমাকে তল্লাসি করতে চাইলে আমি তাকে আমার কাধের ব্যাগ খুলে হাতে দেই। তিনি আমাকে ব্যাগের চেন খুলে দিতে বলেন, আমি চেইন খুলে দেই। তিনি ব্যাগ তল্লাসি শেষে আমাকে পকেট থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ বের করতে বলেন। আমি মোবাইল এবং মানিব্যাগ বের করার পর তিনি আমার শরীর তল্লাসি করেন এবং বাজে ভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত দেন। যেটা অনেকটা সমকামী আচারন বলেই আমার মনে হয়েছে। আমি তাকে বিনয়ের সাথে বলি,

- আপনি চেক করবেন করেন, কিন্তু শরীরের সেন্সেটিভ স্থানে চাপ দিচ্ছেন কেন? 

তিনি আমার প্রশ্নে রেগে গিয়ে আমাকে বলেন এটা তার ডিউটির অংশ। আমি বলি, মানুষকে শারীরিক ভাবে অসম্মান করা কিভাবে আপনার ডিউটির অংশ হতে পারে? তিনি তার সিনিয়র ‘কাদির’ সাহেবকে ডেকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। কাদির সাহেব এসে বলেন, “আপনি তো মেয়ে নয়, আপনাকে চাপ দিলে সমস্যা কী?” আমি বলি, “প্রশ্নটা ছেলে বা মেয়ের নয়। প্রশ্ন হল, আপনি কেউকে প্রকাশ্যে এভাবে শারীরিক ভাবে অসম্মান করে চাপ দিতে পারেন কি না? তখন আগের সেই পুলিশটি আমাকে বাজে ভাষায় গালি দিয়ে আমাকে আঙ্গুল তুলে শাসায়। তখন আমি তাকে আঙ্গুল তুলে বলি, “আঙ্গুল তুলে কথা বলবেন না। আর অকারণ গালি দিবেন না।“

এবার সে আমার দিকে বন্দুক তুলে বলে “তোকে এখানেই মেরে ফেলব, শুয়োরের বাচ্চা”। আমি তখন মোবাইল বের করে ভিডিও করতে গেলে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে বলা হয় যে আমাকে এরেস্ট করা হল। তার সাথে পুলিশ বক্সে যেতে হবে। যেহেতু আমি একজন আইন মেনে চলা নাগরিক সুতরাং আমি তার সাথে তার নির্দেশে পুলিশ বক্সে যাই। পুলিশ বক্সে নেওয়ার পরে কোন ধরেনের সিগন্যাল ছাড়াই কাদির আমাকে বেধড়ক পেটায়। লাথি মারে আর অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এরপর আমার মোবাইল আটকে রাখে। আমি তাকে অনুরোধ করে বলি যে, যেহেতু আমাকে এরেস্ট করা হয়েছে আমার ফ্যামিলিকে জানানোর সুযোগ দেওয়া হোক। আমাকে ফ্যামিলির সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে না দিয়ে আরেক তরফা মারধর করে। যাতে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ চিড়ে যায়।

এর পর সে আমাকে বলে, “আমি ছাত্রলীগ করে এসেছি। তুই আমারে ক্ষমতা দেখাস?” খুবই দুঃখের বিষয় হল যে আজকাল পুলিশকে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করতে হচ্ছে অন্যায় কাজের বৈধতা পেতে। আমি প্রতিবাদ করে বলি, আপনি অকারণ ছাত্রলীগের নাম কেন কলুষিত করছেন? তিনি আমাকে আরও অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা পরে আমাকে আমার মোবাইল ফেরত দেয়। তারপর আমি আমার বড় ভাই চলচ্চিত্র পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খানকে ফোন করলে তিনি এসে আমাকে ছাড়িয়ে নেন। ততোক্ষণে আরও একজন উর্ধতন কর্মকর্তা এসে হাজির হন। তখন কাদির পুরো বিষয়টা উল্টে দিয়ে আমার ঘাড়েই দোষ চাপায় যা পুরোটাই মিথ্যা।

আমি সবিনয় নিবেদন করছি বাংলাদেশ পুলিশের যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট এর সুষ্ঠু তদন্ত করে সথাযত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমি ২৫ বছরের একজন তরুণ। পড়ালেখা করেছি দেশের বাইরে। নিজের দেশে ফিরে এসেই যদি এমন পরিস্থিতিতে পরতে হয় তবে মনেকরছি দেশ থেকে বিদেশই উত্তম।

আমার দাদু একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমার মা একজন প্রথম শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা। আমরা আমাদের প্রতিটি দিন কোন না কোন ভাবে দেশের সেবায় ব্যয় করি। সেই দায়বদ্ধতা স্থেকেই আমার দেশে ফেরৎ আসা। কিন্তু এ কেমন দেশ আমার??

১। প্রথমত তিনি শারীরিক ভাবে অপমান করেছে এবং এই নিয়ে তিনি অনুতপ্ত নয়।
২। তিনি আমার বাবা মাকে গালি দিয়েছেন।
৩। তিনি পকাশ্যে আমাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।
৪। তিনি ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে ক্রাইম করেছেন।
৫। তিনি কোন প্রকার আইনগত নির্দেশনা ছাড়াই আমাকে পিটিয়েছেন যার নিশানা আমার শরীরে লেগে আছে।
৬। তিনি সব কিছু অস্বীকার করে মিথ্যা বয়ান দিয়েছেন সিনিয়রের কাছে।

আশাকরি বাংলাদেশ পুলিশ বুঝতে সমর্থ হবে যে কতোটা বাজে সিচ্যুয়েশনের মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে। এটা কি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের চিত্র? এটাই কি আমাদের প্রিয় পুলিশের চিরায়ত রূপ?? এর কী বিচার হবে না? দুঃখজনক।

আনন্দ কুটুম-এর ফেসবুক থেকে

Wednesday, February 6, 2019

ডিভোর্স হওয়া বাবা-মা’কে এক করলো দুই শিশু


১২ বছর আর ৯ বছরের দুই শিশু কাঁদছে। তাদের একই কথা ‘আমরা আর কিছু চাই না। শুধু মা-বাবাকে একসঙ্গে দেখতে চাই। তাঁদের সঙ্গে থাকতে চাই।’ দুই শিশুর এ কান্না ও আকুতিতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি তাদের মা-বাবা, বিচারপতি, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মীসহ উপস্থিত অনেকেই। বিয়ে বিচ্ছেদ হলেও শেষ পর্যন্ত শিশু দুটির কান্নায় মা-বাবাও বলতে বাধ্য হলেন, তাঁরা আবার একসঙ্গে সংসার করতে চান।

গতকালের এ ঘটনাটি ঘটেছে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে। আদালত দুই শিশুকে আপাতত বাবার হেফাজত থেকে নিয়ে মায়ের হেফাজতে দিয়েছেন। তবে শিশু দুটির কাছে অবাধে যেতে পারবেন তাদের বাবা। এ বিষয়ে আগামী ৪ জুলাই পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে। আদালতে দুই শিশুর বাবা মিয়া মো. মেহেদী হাসানের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট তাপস বল। মা কামরুন নাহার মল্লিকার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট এ কে এম রিয়াদ সলিমুল্লাহ।

কামরুন নাহার মল্লিকা রাজশাহীর শাহ মকদুম উপজেলার মেয়ে। ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে অধ্যয়নকালে তাঁর পরিচয় হয় মেহেদীর সঙ্গে। তিনি মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলার বাসিন্দা। পড়তেন ঢাকা কলেজে। পরিচয় থেকে দুজনের প্রেম। দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০০২ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। লেখাপড়া শেষ করে মেহেদী হাসান যোগ দেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে। আর মল্লিকা চাকরি নেন রাজধানীর ধানমণ্ডির একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। তাঁদের দুই ছেলে সালিম সাদমান ধ্রুব (১২) ও সাদিক সাদমান লুব্ধক (৯)।

বিয়ের ১৫ বছর ২০১৭ সালের ১২ মে বিয়েবিচ্ছেদ ঘটে তাঁদের। স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার এক সপ্তাহ আগে দুই সন্তানকে মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলার উমেদপুর গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মেহেদী হাসান। এরই মধ্যে কেটে গেছে একটি বছর।

মল্লিকার অভিযোগ, বারবার চেষ্টা করেও তিনি সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। এ কারণে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। নিজের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে শিশু দুটিকে হাইকোর্টে হাজির করতে গত ২৯ মে নির্দেশ দেন আদালত। ২৫ জুন তাদের হাজির করতে মোহম্মদপুর থানার ওসি ও শিশু দুটির বাবা মেহেদী হাসানকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দুই সন্তানকে কেন মায়ের হেফাজতে দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। আদালতের এ নির্দেশে পুলিশ শিশু দুটিকে গতকাল হাইকোর্টে হাজির করে। শিশু দুটির মা-বাবা, মামা, নানি, ফুফুসহ আত্মীয়-স্বজন আদালতে হাজির হয়। শুরু হয় দুই পক্ষের আইনজীবীর শুনানি।

মায়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, মা তাঁর সন্তানদের সঙ্গে পাঁচ মিনিটের জন্য কথা বলার সুযোগ চান। কিন্তু ফুফুর কারণে কথা বলতে পারছেন না। এরপর আদালত কথা বলার অনুমতি দিলে মা শিশু দুটির কাছে যেতেই মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাজুড়ে দেয়। এক বছরেরও বেশি সময় পর মাকে কাছে পেয়ে গলা জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে ৯ বছরের শিশু সাদিক সাদমান লুব্ধক অভিযোগ জানায়, ‘তুমি কেন ঈদে আমাকে ফোন করোনি?’ কাঁদতে কাঁদতে মা জবাব দেন, ‘ফোন করেছিলাম। তোমাদের চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমাকে দেয়নি।’

প্রকাশ্য আদালতে এ ঘটনা সবার মনে নাড়া দেয়, ছুঁয়ে যায়। যুক্তি-পাল্টাযুক্তির আদালতে তৈরি হয় আবেগঘন এক পরিবেশ। এরই মধ্যে বড় ছেলে ধ্রুব এক হাত দিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে বাবাকে ডাকতে থাকে। কিন্তু তিনি কাছে যাচ্ছিলেন না। এটা দেখে আদালত তাঁর বাবাকে শিশুটির কাছে যেতে নির্দেশ দেন। বাবা কাছে যাওয়ার পর শিশুটি তাঁকে বলে, ‘বাবা, তুমি মাকে সরি বলো। এরপর মাকে বলে তুমিও বাবাকে সরি বলো। আমরা আর আলাদা থাকতে চাই না। আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই।’

এ পর্যায়ে আদালত শিশু দুটিকে এজলাসের কাছে ডেকে নেন। শিশু দুটির বক্তব্য শুনতে চান আদালত। এ সময় বড় ছেলে ধ্রুব আদালতকে বলে, ‘আমরা বাবা ও মাকে একসঙ্গে দেখতে চাই। আমরা দুজনকেই চাই।’ বড় ভাইয়ের সঙ্গে সুর মেলায় ছোট ভাই লুব্ধকও।

এ সময় আদালত বলেন, ‘তোমরা জোরে জোরে বলো। তোমরা একসঙ্গে থাকতে চাচ্ছ। তোমাদের বাবা-মার শিক্ষা হোক।’ এরপর আদালত তার মা-বাবাকেও ডেকে নেন। সেখানেও ছেলে দুটি মা-বাবাকে পরস্পরকে হাত ধরার অনুরোধ জানাতে থাকে। একপর্যায়ে বড় ছেলে তার মা ও বাবার হাত নিয়ে একসঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে বলতে থাকে, ‘তোমরা আলাদা হয়ে গেলে কেন? আমরা আর কিছু চাই না। আমরা তোমাদের সঙ্গে থাকতে চাই।’

এমন পরিস্থিতিতে আদালত মা-বাবাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এটা দেখেও কি আপনাদের মন গলে না! আপনারা কি সন্তানের জন্য নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করতে পারবেন না? সন্তানের স্বার্থের চেয়ে আপনাদের ইগো বেশি হয়ে গেল? সামনে তাকিয়ে দেখুন, আপনাদের এ দৃশ্য দেখে সবার চোখ দিয়েই পানি পড়ছে।’

এরপর বিচারক খাসকামরায় গিয়ে মা-বাবা, ফুফু ও নানিকে ডেকে নিয়ে একান্তে কথা বলেন। এরপর এজলাসে উঠে আদালত আদেশ দেন, শিশু দুটির ইচ্ছা তাদের মা ও বাবা একসঙ্গে থাকবেন। এ কারণে আপাতত তারা মায়ের হেফাজতে থাকবে। আগামী ৪ জুলাই পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে। এরপর আদালত ধ্রুবকে ডেকে বলেন, বাসায় তোমার মা-বাবা কী করেন, তা জানাবে। এরপর আদালত পুলিশকে শিশু দুটিকে মায়ের হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

পরে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ধারণা বাচ্চাদের আকুতি হয়তো বাবা ও মায়ের মনে দাগ কেটেছে। এ কারণেই হয়তো মা-বাবা তাঁদের দাম্পত্য জীবনের কলহ ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

আদেশের পর কামরুন নাহার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের পেয়েছি। আমি খুশি। এর থেকে বেশি কিছু বলার ভাষা নেই।

Tuesday, January 29, 2019

বান্ধবীকে সারাদিন মোটরসাইকেলে ঘুরিয়ে রাতে গণধর্ষণ


বান্ধবীকে জিনিসপত্র কিনে দেয়ার কথা বলে সারাদিন মোটরসাইকেলে ঘুরিয়ে রাতে ধর্ষণ করেছে তিন বন্ধু। গুরুতর অবস্থায় রাতেই দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বর্তমানে ওই ছাত্রী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার রাতে খুলনার মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন আফিল জুট মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আফিল জুট মিলের সাবেক এক শ্রমিকের মেয়ে সোমবার সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সাগর নামে এক যুবক তাকে কিছু জিনিসপত্র কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সারাদিন মোটরসাইকেলে ঘুরিয়ে বেড়ায়।

সন্ধ্যার পর ছাত্রীকে আফিল জুট মিল এলাকায় নিয়ে যায় সাগর। সেখানে সাগর ও তার দুই বন্ধু বিল্লাল এবং সফিক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ফেলে যায়। গুরুতর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ছাত্রীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।

ওসি সফিকুল ইসলাম আরও বলেন, রাতেই মেয়েটিকে দেখতে আমরা হাসপাতালে যাই। সেখানে মেয়েটির বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। ধর্ষকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।